মামলা থেকে খালাস পেলেন আমান উল্লাহ

ইস্পাহানী ইমরান avatar   
ইস্পাহানী ইমরান
তের বছরের সাজা থেকে মুক্তি পেলেন আমান উল্লাহ আমান। নির্বাচন করতে বাধা নেই

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য আমান উল্লাহ আমান এবং তার স্ত্রী সাবেরা আমানকে দেওয়া দণ্ড বাতিল করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। একইসঙ্গে তাদের করা আপিল মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ।

আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ রায় দেন। বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ শুনানি শেষে এই রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে আমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

উল্লেখ্য, আলোচিত ‘ওয়ান-ইলেভেন’ রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় ২০০৭ সালের ৬ মার্চ কাফরুল থানায় আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় অভিযোগ আনা হয়, আমান উল্লাহ আমান জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জন করেছেন এবং সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।

ওই মামলায় একই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালত আমান উল্লাহ আমানকে ১৩ বছরের ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন। এরপর তারা হাইকোর্টে আপিল করেন এবং ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট তাদের খালাস দেন। পরে দুদকের আপিলে ২০১৪ সালের ২৬ মে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের খালাসের রায় বাতিল করে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেয়।

পরবর্তীতে হাইকোর্ট পুনরায় শুনানি শেষে ২০২৩ সালের মে মাসে আমান দম্পতির দণ্ড বহাল রাখেন। সেই রায়ের পর আমান উল্লাহ আমান আত্মসমর্পণ করে কারাগারে যান এবং পরে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন।

দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে আজ আপিল বিভাগ সেই সাজা বাতিল করে তাদের নির্দোষ ঘোষণা করলেন।

এই রায়ের মাধ্যমে ১৭ বছরের পুরোনো আলোচিত এই মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হলো।

Không có bình luận nào được tìm thấy


News Card Generator