জামালপুরের প্রত্যন্ত উপজেলা মাদারগঞ্জ এ প্রকল্পের বাইরে রাখা হয়েছে। তাই শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয় এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
মাদারগঞ্জ উপজেলাটি সর্বগ্রাসী যমুনা নদীর করাল ভাঙন, দারিদ্র্য ও অবকাঠামোগত দুর্বলতার কারণে বরাবরই উন্নয়ন কার্যক্রমে পিছিয়ে রয়েছে। এই এলাকায় শিক্ষার্থীদের একটি অংশ দরিদ্র।
জানা যায়, ২০১৫ ইং সন থেকে মাদারগঞ্জ উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুষ্টি সমৃদ্ধ বিস্কুট বিতরণ কর্মসূচি চলমান ছিল। প্রতি টি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি ও উপস্থিত
ছিল ব্যপক হারে। ফিডিং কর্মসূচির তালিকায় মাদারগঞ্জের নাম নেই! তাই হতাশায় শিক্ষক, কোমলমতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
প্রশাসনের চলমান কার্যক্রম এ প্রেক্ষাপটে হঠাৎ করে নতুন প্রকল্প থেকে মাদারগঞ্জে উপজেলার নাম বাদ পড়ে যাওয়ায় সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কোমল মতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ বেশ হতাশায় ভোগছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় একাধিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ ও অভিভাবকগণ সংবাদ কে বলেন, তারা আশা করেছিলেন—দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা ও বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় মাদারগঞ্জ ফিডিং কর্মসূচির আওতায় থাকবে। কিন্তু তালিকায় না থাকায় তারা হতাশায় উদ্বিগ্ন।
এ বিষয়ে নলছিয়া এ.কে. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এটিএম বাবুল সংবাদ কে বলেন, অত্যন্ত নিম্ন আয়ের কৃষিজীবি মানুষের সন্তানরা এই অঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে যাদের বেশিরভাগ অপুষ্টিতে ভুগে। তাই মাদারগঞ্জ কে ফিডিং কর্মসূচীর আওতায় আনা খুবই একান্ত প্রয়োজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূরল আমিন জানান, বিষয়টি আমি জেলা শিক্ষা অফিসে কথা বলেছি। তারা বলেছেন যে, ফিডিং কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হয়েছে ঢাকা থেকে। এখানে ফিডিং কর্মসূচি চালু থাকলে অবশ্যই ভালো হতো।