close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের উপর ভয়াবহ হামলা: বিদায়ী কমান্ডার আহত, উত্তপ্ত পরিস্থিতি


বৈরুত, লেবানন: মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতি আরও একবার ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের গাড়িবহরে আকস্মিক হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় ইউনিফিল মিশনের বিদায়ী ডেপুটি কমান্ডার গুরুতর আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটে, যা আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শান্তিরক্ষীদের গাড়ি বহরটি দক্ষিণ লেবাননের একটি এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল। এই সময় অজ্ঞাত পরিচয়ধারী সশস্ত্র ব্যক্তিরা অতর্কিতে তাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় বেশ কয়েকজন শান্তিরক্ষী সদস্য আহত হয়েছেন। তবে সবচেয়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন ইউনিফিল মিশনের বিদায়ী ডেপুটি কমান্ডার। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই হামলার পরপরই ইউনিফিল তাদের দাপ্তরিক ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে তারা এই ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে। ইউনিফিল জানিয়েছে, শান্তিরক্ষীরা সর্বদা লেবাননের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য কাজ করে। তাদের উপর এই ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং যুদ্ধাপরাধের শামিল।
এদিকে, লেবাননের প্রধানমন্ত্রী এই হামলার ঘটনাকে 'কাপুরুষোচিত' আখ্যা দিয়ে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি জানান, সরকার এই হামলার তদন্ত শুরু করেছে এবং দোষীদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। লেবাননের সেনাবাহিনীও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা এই হামলার ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে এবং এর পিছনে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
জাতিসংঘের মহাসচিবও এই হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য লেবানন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শান্তিরক্ষীরা লেবাননের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য যে কাজ করছেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব।
এই হামলার ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল, যখন লেবাননের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এমনিতেই উত্তপ্ত। সম্প্রতি বৈরুত বিমানবন্দরে ইরানি বিমান অবতরণের সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে। এই বিক্ষোভের মধ্যেই শান্তিরক্ষীদের উপর হামলা নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা মনে করছেন, এই হামলার পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে।
তবে, এখনো পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী বা সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং লেবাননের নিরাপত্তা বাহিনী দোষীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। এই হামলার ঘটনায় লেবাননের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল এই ঘটনার উপর নজর রাখছে এবং আশা করা হচ্ছে, দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হবে।
Hiçbir yorum bulunamadı