লেবাননে ইসরায়েলি ড্রোন হা ম লা, নি হ ত ৩

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইসরায়েল ফের চালালো প্রাণঘাতী ড্রোন হামলা। লেবাননের কুনিন ও মাহরোনা শহরে টার্গেট করে হামলায় নিহত ৩, আহত ১। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ফের তুঙ্গে।..

লেবাননে নতুন করে ভয়াবহ উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে ইসরায়েলের ধারাবাহিক ড্রোন হামলা। সর্বশেষ ঘটনার শিকার হয়েছে কুনিন ও মাহরোনা শহর। প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে তিনজন, আহত হয়েছেন আরও একজন। যদিও ২০২৩ সালের নভেম্বরে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, বাস্তবে তা কোনো প্রভাব ফেলছে না—বরং পরিস্থিতি দিনকে দিন আরও অস্থির হয়ে উঠছে।

লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং সরকারি বার্তা সংস্থা নিশ্চিত করেছে—দক্ষিণাঞ্চলের কুনিন গ্রামে একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে চালানো হয় ইসরায়েলি ড্রোন হামলা। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান এক ব্যক্তি।

অন্যদিকে, মাহরোনা শহরে একটি মোটরসাইকেলে চালানো পৃথক হামলায় নিহত হয়েছেন আরও দুজন। আহত হন আরও একজন। স্থানীয় মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এই ভয়াবহ ঘটনায়।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অবশ্য দাবি করেছে, কুনিনে যে গাড়িটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল, সেটিতে ছিলেন হাসান মুহাম্মদ হাম্মুদি। তাদের ভাষ্যমতে, তিনি সাম্প্রতিক সময়ের যুদ্ধ চলাকালীন ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ট্যাঙ্কবিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে জড়িত ছিলেন। ফলে তাকে টার্গেট করেই এই হামলা চালানো হয়েছে।

লেবাননের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, মানবাধিকার সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ এই ঘটনাকে ইসরায়েলের ‘উস্কানিমূলক সন্ত্রাস’ বলে আখ্যা দিচ্ছে। তারা বলছে, যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে ইসরায়েল প্রতিনিয়ত লেবাননের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এভাবে চলতে থাকলে যে কোনো সময় পুরো অঞ্চলে আরও বড় আকারের সংঘাতের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।

প্যালেস্টাইন-গাজা পরিস্থিতির পাশাপাশি লেবানন এখন নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে সীমান্ত অঞ্চলে গত কয়েক মাস ধরেই চোরাগোপ্তা হামলা ও পাল্টা হামলা চলছিল। তবে সর্বশেষ এই ড্রোন হামলা আবারও প্রমাণ করলো—শান্তি খুব দুর্লভ হয়ে উঠছে এই অঞ্চলে।

যদিও আন্তর্জাতিক মহল এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি, তবুও বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর উচিত এ ধরনের আগ্রাসন থামাতে তাত্ক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া। যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করে যে ভাবে সাধারণ নাগরিকদের হত্যা করা হচ্ছে, তা আন্তর্জাতিক আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

লেবাননের মাটি আবারও ভিজেছে রক্তে। প্রশ্ন উঠছে—যুদ্ধবিরতির চুক্তি যদি এমনই হয়, তবে কিসের শান্তি? বিশ্ব সম্প্রদায় কি এবারও নীরব দর্শক হয়ে থাকবে?

Keine Kommentare gefunden