close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
লাল গালিচায় নেমে খাল খনন উদ্বোধন করলেন তিন উপদেষ্টা: ঢাকার খাল সংস্কারে নতুন অধ্যায়


রোববার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫: ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের খাল সংস্কার কর্মসূচি শুরু হল এক অনন্য উদ্যোগের মাধ্যমে। আজ রাজধানীর মিরপুর–১৩–এর বাউনিয়া খালে লাল গালিচায় নেমে খননকাজ উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা। তাঁরা হেঁটে খালে নামেন এবং ভাসমান এস্কেভেটরে উঠে এই বিশাল প্রকল্পের সূচনা করেন।
উপদেষ্টারা হলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তাঁদের এই সুমধুর উপস্থিতি নিয়ে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)-এর আওতায় মোট ৬টি খালের সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এই ৬টি খালের মধ্যে ৪টি খাল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)-এ অবস্থিত, সেগুলি হল: বাউনিয়া, কড়াইল, রূপনগর এবং বেগুনবাড়ি। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)-এ রয়েছে ২টি খাল: মান্ডা এবং কালুনগর। এসব খালের সংস্কার কাজ শুরু হলে, ঢাকার নব্য শহুরে রূপের পথে এটি হবে একটি মাইলফলক।
তবে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে, যেখানে আগের মেয়ররাও খাল উদ্ধার নিয়ে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন, সেখানে এবারও কি লাল গালিচা বিছিয়ে উদ্বোধন করা হয়েছে—এমন প্রশ্নে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, "লাল গালিচা বিছানোটা আমার খেয়াল ছিল না।" তিনি আরও বলেন, "আগে খাল উদ্ধার হয়নি, তবে এখন এই প্রকল্পটি হাতে নিয়ে শুরুটা তো করতে পারি, যদিও আমরা জানি পুরো কাজ একেবারে শেষ করা সম্ভব নয়।"
এনসিসি এবং ডিএসসিসির ১৯টি খালের সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণা করা হলেও, প্রথম ধাপে ৬টি খালের সংস্কার শুরু হয়েছে। এই খাল সংস্কার কর্মসূচি পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন হবে, যা ঢাকার পরিবেশ এবং নগর ব্যবস্থাপনার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ। এই প্রকল্পে লক্ষ রাখা হচ্ছে, খালগুলোর পানির প্রবাহ এবং নিকাশী ব্যবস্থার উন্নয়ন, যা শহরের জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান করবে।
প্রকল্পের উদ্বোধন উপলক্ষে তিন উপদেষ্টা খালপাড়ে দাঁড়িয়ে উপস্থিত জনতাকে আশ্বস্ত করেছেন যে, এই প্রকল্পটি শুধু ঢাকার পরিবেশ এবং নগর উন্নয়নে সহায়ক হবে না, বরং ভবিষ্যতে শহরের জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ঢাকা শহরের জলবায়ু সংকট মোকাবিলা, জলাশয়ের উন্নয়ন এবং নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতির জন্য এই উদ্যোগকে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে গ্রহণ করা হচ্ছে।
এবং, এটি শুধু একটি খাল সংস্কারের প্রকল্প নয়; এটি ঢাকার নাগরিকদের জন্য একটি নতুন শহুরে পরিচ্ছন্নতার প্রতীক।
Aucun commentaire trouvé