গতকাল (মঙ্গলবার, ১৩ মে) দুপুরে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় হাসপাতাল রোডের "ডলফিন ডায়গনস্টিক সেন্টার" এর কাগজপত্র ও টেস্ট রিপোর্টে সমস্যা পাওয়াই ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। হাসপাতাল মোড়ের "পিওর ডায়াগনস্টিক এন্ড ডায়ালাইসিস" লাইসেন্স ছাড়াই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করাই জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইনে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ ও সবকিছু সন্তোষজনক পাওয়া যায় এজন্য প্রতিষ্ঠান সিলগালা না করে সতর্ক করে জরিমানা করা হয়। সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে "দি কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার" এ কোন সমস্যা না পাওয়াই ধন্যবাদ জানিয়েছে।
পিওর ডায়াগনস্টিক এন্ড ডায়ালাইসিস এর এমডি বলেন, আমরা ছয় মাস আগে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছি কিন্তু গত ৬ মাসে ৪ জন সিভিল সার্জন পরিবর্তন হয়েছে এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে আমরা এখনো লাইসেন্স হাতে পাইনি। তিনি আরো বলেন এই আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কাটিয়ে খুব শিগ্রই আমরা লাইসেন্স হাতে নিয়ে নেব।
দি কমফোর্ট ডায়গনস্টিক সেন্টার এর কর্মকর্তা বলেন আমাদেরকে ধন্যবাদ দিয়ে গেছে কারণ আমাদের সকল কাগজপত্র ঠিক আছে। তিনি আরো বলেন আমাদের প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম সঠিকভাবে নিয়ম অনুযায়ি পরিচালনা করা হচ্ছে।
পিওর ডায়াগনস্টিক এন্ড ডায়ালাইসিস এ অভিযান পরিচালনার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে উদ্দেশ্য করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: মাসুম আলী বলেন,তারা যেহেতু প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার আগেই লাইসেন্সের আবেদন করেছেন এবং আমরা আপাতত দৃষ্টিতে যতটুক দেখলাম অনেকটাই স্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশ অনেক ভালো এজন্য বিষয়টি বিবেচনায় নেয়ার জন্য বলছি।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হাসান এবং সাথে ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ ও সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হাসান বলেন, ‘অবৈধ ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আগামীতেও আমাদের অভিযান আরো জোরদার হবে এবং জেলার সকল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আমরা অভিযান পরিচালনা করবো।