close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগের দিন গণভবনে কোটি কোটি টাকা ছিল

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগের দিন গণভবনে কোটি কোটি টাকা ছিল বলে জানা গেছে। কয়েকজন কর্মকর্তা এই টাকার দায়িত্বে ছিলেন বলে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে। ৪ঠা আগস
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগের দিন গণভবনে কোটি কোটি টাকা ছিল বলে জানা গেছে। কয়েকজন কর্মকর্তা এই টাকার দায়িত্বে ছিলেন বলে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে। ৪ঠা আগস্ট রাতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিক নেতা ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন। এই সময় টাকা বিলি-বণ্টন করা হয়। সর্বশেষ বৈঠকটি হয় তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ পাঁচজন নেতা ও কর্মকর্তার সঙ্গে। এর মধ্যে ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, জুনাইদ আহমেদ পলক, এবং মোহাম্মদ আলী আরাফাত। এছাড়া ছিলেন মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান ও একজন লেফটেনেন্ট জেনারেল। সেই বৈঠকে হাসিনা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন এবং বলেন, "আর অপেক্ষা নয়, আর আপস নয়।" পরিস্থিতি শান্ত করতে নির্বিচারে গুলি চালানোর নির্দেশ দেন তিনি। বৈঠকে যোগ দেন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। আই নিউজ বিডি জানতে পেরেছে, বৈঠকে আইজিপি জানান যে পুলিশের পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না। একদিকে গুলির সংকট, অন্যদিকে জন-উপস্থিতি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। গুলি করেও থামানো যাচ্ছে না। যদিও এ সময় শেখ হাসিনা আইজিপির প্রশংসা করেন, তবে সবার কথা শেষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, "তোমাদের দিয়ে কিছু হবে না। আমি সেনাবাহিনীকে বলবো গুলি করতে এবং কারফিউ আরও কঠিন করতে।" সেনাবাহিনীর তরফে আগেই জানানো হয়েছিল কোনো অবস্থাতেই তারা গুলি করবে না। হাসিনা এটা শোনার পর কোনো একজন কর্মকর্তাকে লক্ষ্য করে বললেন, "আমি তোমাদের জন্য কী না করেছি! তোমরা এখন সবাই গা বাঁচানোর চেষ্টা করছো। যা করার আমিই করবো।" হাসিনা তখন আরও বলেন, "সেনাবাহিনী মার্শাল ল’ দিচ্ছে না কেন? তাহলেই তো পরিস্থিতি ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।" আই নিউজ বিডি এটাও জানতে পেরেছে যে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে মার্শাল ল’র পক্ষে তাদের সায় নেই, কারণ মার্শাল ল’ দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা সম্ভব নাও হতে পারে। তাছাড়া বিশ্ব পরিস্থিতিও মার্শাল ল’র অনুকূলে নয়। এখানেই বৈঠক শেষ হয়ে যায়। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, আন্দোলনকে বিপথগামী করতে টাকা ছড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। তখন গণভবনে গচ্ছিত টাকা দেয়া হয় নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে। পরদিন পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এই সময় গণভবন লুট হয়। লুটকারীরা টাকাও নিয়ে যায়। তবে কত কোটি টাকা ছিল জানা সম্ভব হয়নি। পঞ্চান্ন লাখ টাকা উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর হাতে দেয় জনতা।
没有找到评论


News Card Generator