close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ক্রিকেটে আসছে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন

Mehedi Hasan avatar   
Mehedi Hasan
কিছুদিন আগে ছেলেদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্লেয়িং কন্ডিশনে বেশ কিছু পরিবর্তন অনুমোদন করেছে আইসিসি। পরিবর্তন গুলো এক নজরে দেখে নেওয়া যাক :..

এর মধ্যে কিছু নিয়ম ইতোমধ্যে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (২০২৫-২৭) নতুন চক্রে কার্যকর হয়েছে, আর সাদা বলের সংস্করণে (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) বাকি নিয়মগুলো কার্যকর হবে ২ জুলাই থেকে। নতুন এই নিয়মগুলো প্রথমে প্রকাশ করেছে ক্রিকেটবিষয়ক বিশ্বখ্যাত পোর্টাল ইএসপিএনক্রিকইনফো।

টেস্ট ক্রিকেটে এবার চালু করা হয়েছে ‘স্টপ ক্লক’। আগেই সাদা বলের ক্রিকেটে চালু হওয়া এই নিয়মের উদ্দেশ্য খেলার গতি বাড়ানো। এখন থেকে ফিল্ডিং দলকে প্রতি ওভার শেষ হওয়ার পর এক মিনিটের মধ্যে পরবর্তী ওভারের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। নির্ধারিত সময়ে প্রস্তুত না থাকলে দুইবার সতর্কবার্তা পাবে তারা। এরপরও একই ভুল হলে আম্পায়ার ৫ রান জরিমানা দেবেন। প্রতি ৮০ ওভার পর সতর্কবার্তার হিসাব আবার নতুন করে শুরু হবে।

আগের মতো বলে লালা মাখানো এখনো নিষিদ্ধ থাকছে। তবে বল যদি লালায় ভিজে যায় বা লালার অস্তিত্ব পাওয়া যায়, তাহলে সেটির কারণে বল পাল্টানোর বাধ্যবাধকতা থাকছে না। আম্পায়াররা যদি মনে করেন বলের অবস্থা গ্রহণযোগ্য, তাহলে তা দিয়ে খেলা চলতে পারবে। তবে কোনো দল যদি ইচ্ছাকৃতভাবে লালা মাখিয়ে বল পাল্টানোর চেষ্টা করে, এবং তা ধরা পড়ে, সেক্ষেত্রে ব্যাটিং দলকে ৫ রান ‘পেনাল্টি রান’ হিসেবে যোগ করা হবে।

ডিআরএস ব্যবহারে এসেছে নতুন মাত্রা। আগের নিয়মে, যদি একজন ব্যাটারকে ক্যাচ আউট দেওয়া হতো এবং পরে দেখা যেত বল ব্যাটে লাগেনি, তাহলে ‘নট আউট’ ঘোষণা করেই সিদ্ধান্ত শেষ হতো। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সেই পরিস্থিতিতে বল প্যাডে লেগেছে কি না তা বল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে যাচাই করা হবে। যদি এলবিডব্লু হওয়াটা নিশ্চিত হয় এবং মূল সিদ্ধান্ত ছিল ‘আউট’, তাহলে ব্যাটসম্যান আউটই থাকবেন।

সমন্বিত রিভিউয়ের ক্ষেত্রেও এসেছে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। এখন থেকে এক বলেই যদি দুই ধরনের আউটের (যেমন এলবিডব্লু ও রানআউট) আবেদন আসে, তাহলে যে ঘটনাটি আগে ঘটেছে, সেটিই আগে যাচাই করবেন তৃতীয় আম্পায়ার। এতে করে মাঠের আম্পায়ার ও খেলোয়াড়দের সিদ্ধান্ত আরও স্পষ্ট ও কার্যকর হবে।

নতুন নিয়মে আরেকটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন হলো নো বল হলেও ক্যাচের বৈধতা খতিয়ে দেখা। আগে নো বল হলে আর ক্যাচটি ঠিকভাবে ধরা হয়েছে কিনা, সেটা দেখা হতো না। এখন তৃতীয় আম্পায়ার দেখবেন, ক্যাচটি সঠিকভাবে ধরা হয়েছে কিনা—even যদি সেটি নো বল হয়। যদি ধরা হয়ে থাকে, তবে ব্যাটিং দল পাবে কেবল এক রান। যদি না হয়ে থাকে বা বোঝা না যায়, তাহলে দৌড়ে নেওয়া সব রান স্কোরে যোগ হবে।

ইচ্ছাকৃত শর্ট রানের ক্ষেত্রেও শাস্তি আরও কঠোর করা হয়েছে। আগে শুধু পাঁচ রান জরিমানা থাকলেও এখন ফিল্ডিং দলের পছন্দ অনুযায়ী ঠিক করা যাবে স্ট্রাইক—মানে তারা নির্ধারণ করতে পারবে পরের বলে কোন ব্যাটসম্যান থাকবে স্ট্রাইকে। এটি মূলত রান চুরির প্রবণতা কমাতেই নেওয়া পদক্ষেপ।

সবশেষে, ঘরোয়া ক্রিকেটে চালু হচ্ছে একটি পরীক্ষামূলক নিয়ম—পূর্ণ সময়ের জন্য বদলি খেলোয়াড়। কোনো ক্রিকেটার মারাত্মক চোটে পড়লে, ম্যাচ অফিসিয়ালের অনুমতি সাপেক্ষে ‘লাইক ফর লাইক’ বদলি খেলোয়াড় নামানো যাবে। যেমনটা কনকাশন বদলির ক্ষেত্রে হয়। তবে এটি এখনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নয়, শুধু ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে। সদস্য দেশগুলো চাইলে এটি নিজেদের ঘরোয়া লিগে প্রয়োগ করতে পারবে।

Walang nakitang komento