close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের ভবিষ্যৎ নিয়ে শুরু হলো আদালত শুনানি: সামরিক আইন জারির অভিযোগে আদালত

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
দক্ষিণ কোরিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের ভবিষ্যৎ নিয়ে শুরু হয়েছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক আদালতের শুনানি। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হওয়া এই
দক্ষিণ কোরিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের ভবিষ্যৎ নিয়ে শুরু হয়েছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক আদালতের শুনানি। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হওয়া এই শুনানি, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ বা পুনর্বহালের বিষয়ে একটি চূড়ান্ত রায় দেবে। আদালতের হাতে ১৮০ দিন পর্যন্ত সময় থাকলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রায় দ্রুত আসতে পারে। এদিকে, দেশটির আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সামরিক আইন জারির ঘটনায় ইউন সুক ইওলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা বুধবার (২০ ডিসেম্বর) তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য অনুরোধ করতে যাচ্ছে। এই তদন্তের মধ্যে রয়েছে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার অপব্যবহার এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ। সাংবিধানিক আদালত এই মামলায় রায় দেওয়ার জন্য ১৮০ দিন পর্যন্ত সময় পেয়েছে, তবে সাধারণত এর আগে পূর্ববর্তী অভিশংসন মামলায় রায় দ্রুত এসেছে। ২০০৪ সালে প্রেসিডেন্ট রোহ মু হিউন এবং ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন হাইয়ের বিরুদ্ধে আদালত যথাক্রমে ৬৩ দিন ও ৯১ দিনের মধ্যে রায় দিয়েছিল। ২০০৪ সালে রোহ মু হিউনকে পুনর্বহাল এবং ২০১৬ সালে পার্ক গিউন হাইকে অপসারিত করা হয়েছিল। অভিশংসনের প্রস্তাব গত শনিবার পার্লামেন্টে অনুমোদিত হওয়ায়, প্রেসিডেন্ট ইউনের ক্ষমতা আপাতত স্থগিত রয়েছে। দেশের সাংবিধানিক বিধান অনুসারে, যদি ইউন অপসারিত হন, তবে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, সামরিক আইন জারি করার পর থেকে সিউলে লাখো মানুষ ইউনের পদত্যাগ ও গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। এদিকে, প্রেসিডেন্ট ইউন নিজের পদক্ষেপকে সঠিক বলে দাবি করেছেন, এবং বলেছেন, “প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি একটি রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি, তাদের মোকাবিলা করতে সামরিক আইন জারি করা একমাত্র উপায় ছিল।” তিনি অভিশংসনের বিরুদ্ধে "শেষ পর্যন্ত লড়াই" করার অঙ্গীকার করেছেন। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে সাড়া দেবেন কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়। গত রবিবার ইউনকে প্রসিকিউশন কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য তলব করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি সেখানে উপস্থিত হতে অস্বীকৃতি জানান। তার নিরাপত্তা বাহিনীও তার অফিসে পুলিশের তল্লাশি প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করেছিল। এখনো পুরো পরিস্থিতি পরিষ্কার না হলেও, কোরিয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য এই শুনানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
No comments found


News Card Generator