শনিবার, ১০ মে ২০২৫ — বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করেছেন ডা. জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান সিঁথি।
তারা রাজধানীর বনানী কবরস্থানে প্রয়াত কোকোর কবর জিয়ারত করেন।
বিকেল ৩টা ১০ মিনিট থেকে ৩টা ২০ মিনিট পর্যন্ত তাঁরা কবরস্থানে অবস্থান করেন। এ সময় তাঁদের সঙ্গে ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী ও কয়েকজন ঘনিষ্ঠ স্বজন ছিলেন।
নীরবতা ও আত্মিক আবেগে ভরা এই মুহূর্তে তাঁরা কবরের পাশে কিছু সময় দাঁড়িয়ে মোনাজাত করেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে জানান, “ডা. জুবাইদা রহমান ও শামিলা রহমান কোকোর কবর জিয়ারতের পরপরই সরাসরি গুলশানের ফিরোজা ভবনে যান।”
গুলশান ২–এর ‘ফিরোজা’ ভবনটি বর্তমানে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক এবং পারিবারিক কার্যক্রমের কেন্দ্রে রূপ নিয়েছে। সেখানে তাঁরা কিছু সময় অবস্থান করেন বলে জানা গেছে।
এই সফরটি ছিল একান্ত পারিবারিক, তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে এর নীরব বার্তা নিয়ে জল্পনা-জটিলতা তৈরি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আরাফাত রহমান কোকো ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মৃত্যুর পর তাঁর মরদেহ দেশে এনে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
তাঁর মৃত্যুতে বিএনপির রাজনীতিতে এক আবেগঘন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদার দেশে উপস্থিতি এবং সরাসরি পারিবারিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ একটি গুরুত্ববহ ঘটনা।
কারণ দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন এবং রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় না থাকলেও তাঁর সম্ভাব্য রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার বার্তাও এই সফরের মাধ্যমে ইঙ্গিত হতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করছেন।
এই সফরটি এমন এক সময় হয়েছে, যখন দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নির্বাচন ঘিরে নতুন সমীকরণ তৈরি হচ্ছে। বিএনপির নেতৃত্ব ও পরবর্তী প্রজন্মের ভূমিকা নিয়েও চলছে নানা আলোচনা।
এই প্রেক্ষাপটে ডা. জুবাইদার এমন উপস্থিতি ভবিষ্যতের জন্য কিছু বার্তা বয়ে আনতে পারে বলে রাজনীতিকরা মনে করছেন।
তবে এ সফরের বিষয়ে দলীয় কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। বিএনপি এ সফরকে নিছকই পারিবারিক বলে উল্লেখ করছে, তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, "বিএনপির প্রতিটি পদক্ষেপের পেছনে একটি সম্ভাব্য কৌশল থাকে।"
এই ছোট পরিসরের সফর হয়তো শুধুই পারিবারিক আবেগের বহিঃপ্রকাশ, তবে রাজনীতির মঞ্চে প্রতিটি দৃশ্যই যেন ভবিষ্যতের কৌশল নির্ধারণের অংশ।
তাই এই জিয়ারতকে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত আবেগের ঘটনা হিসেবে দেখলে ভুল হবে বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।



















