close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

কনকনে শীতে গ্রেপ্তার শুনানিতে আদালতে কামরুল ইসলাম ও পলকের ক্ষোভে উত্তাল সিঁড়ি নাটক!

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
জুলাই অভ্যুত্থানের হত্যা মামলার শুনানিতে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ
জুলাই অভ্যুত্থানের হত্যা মামলার শুনানিতে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ পাঁচজনকে বুধবার (৮ জানুয়ারি) ভোরের কনকনে শীতে প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে আনা হয়। সকাল ৯টার আগেই তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। পরে তাদের মাথায় হেলমেট, হাতে হাতকড়া এবং বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। তবে আদালতের লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি দিয়ে চার তলায় ওঠানোর সময় বাঁধে বিপত্তি। বৃদ্ধ কামরুল ইসলাম এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে পুলিশের প্রতি চিৎকার করতে থাকেন। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "আদালতের লিফট কি নষ্ট? এত উপরে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটানো হচ্ছে কেন?" এমনকি রাগে চিৎকার করে তিনি পুলিশ সদস্যদের আরও বলেন, "ইতরামির একটা সীমা আছে। ফাইজলামি পাইছেন?" আদালতের আইনজীবীদের মতে, কামরুল ইসলাম প্রায়ই আদালতে ঝগড়া করেন। রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারকী বলেন, "বিচারপ্রার্থী এবং আইনজীবীদের ভিড়ের কারণে লিফট এড়াতে সিঁড়ি ব্যবহার করা হয়।" তবে তার দাবি, আদালতে এলেই কামরুল পুলিশ ও আইনজীবীদের সঙ্গে ঝগড়া করেন। অন্যদিকে, পলকের আইনজীবী আফতাফ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, "বৃদ্ধ মানুষ কামরুল ইসলামকে ভোগান্তি দিতে ইচ্ছাকৃতভাবে সিঁড়ি দিয়ে উঠানো হয়েছে।" শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত আসামিদের বিভিন্ন থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ২০২৩ সালের ১৯ জুলাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের গুলিতে মো. আলী নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। লালবাগ থানায় দায়ের করা এই হত্যা মামলায় কামরুল ইসলামসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়। সবার নজর কাড়ে সিঁড়ি দিয়ে উঠানোর এই নাটকীয় পরিস্থিতি, যা আদালতের পরিবেশে নতুন এক উত্তেজনার জন্ম দেয়।
No comments found