কমলাপুর রেলস্টেশনের ডিজিটাল মনিটরে অশ্লীল ভিডিও প্রদর্শনের ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাজুল ইসলাম সোহাগ রবিবার (৫ জানুয়ারি) স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। আদালত বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তাকে (ডিসিও) আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
ঘটনার বিবরণ
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০(১) সি ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি মিস মামলা রেকর্ড করেন। আদেশে বলা হয়েছে, ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন এবং দণ্ডবিধির প্রাসঙ্গিক ধারায় এই ঘটনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
গত ২৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ২টা ৫ মিনিটে হঠাৎ কমলাপুর রেলস্টেশনের মনিটরে অশ্লীল ভিডিও চলতে শুরু করে, যা প্রায় ২০ মিনিট ধরে প্রদর্শিত হয়। ঘটনায় উপস্থিত যাত্রীরা বিব্রত ও ক্ষুব্ধ হন। অনেকে মনিটর বন্ধ করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। এক পর্যায়ে একজন যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে পাথর ছুঁড়ে মনিটরটি ভেঙে ফেলেন।
তদন্তের নির্দেশ
আদালত ঢাকা রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুসন্ধানে সার্বিক সহায়তা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। অনুসন্ধানের জন্য আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশনা
আদালত বলেছেন, প্রকাশিত ও প্রচারিত সংবাদের ভিত্তিতে সরেজমিনে তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের পূর্ণাঙ্গ নাম ও ঠিকানাসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। একই সঙ্গে ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা অনুযায়ী দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনার পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জনমনে প্রতিক্রিয়া
এ ঘটনা যাত্রীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। যাত্রীরা স্টেশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও মনিটর পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন।
পরবর্তী পদক্ষেপ
এই ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও রেল কর্তৃপক্ষ তদন্তে নেমেছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Комментариев нет