কলাপাড়ায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি প্রকাশ্যে করছেন মাদকব্যবসা, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি অতিষ্ট এলাকাবাসী।..

মুহাম্মাদ রাকিব avatar   
মুহাম্মাদ রাকিব
****

স্টাফ রিপোর্টার :

প্রকাশিত : ০২ : ৩৫ এএম, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলাধীন ধানখালী ইউনিয়নের ০৬ নং ওয়ার্ডের মধ্য লোন্দা নামক গ্রামের প্যাদার হাট নামক বাজারে দীর্ঘ এক যুগ ধরে প্রকাশ্যে ইয়াবা,  ফেনসিডিল,  গাঁজা সেবন বিক্রি প্রকাশ্যে চালিয়ে যাচ্ছেন এডওয়ার্ড মৃধা নামক এক মাদক ব্যবসায়ী।  যিনি বর্তমানে কলাপাড়া থানায় আ'লীগ এর সাবেক ত্রান ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমানের সাথে বিস্ফোরক মামলার ৪০ নং আসামি।  তাছাড়া সে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক ঠিকাদারকে পিস্তল ঠেকিয়ে ৫ লক্ষ টাকা ছিনতাই করেছে যার মামলা কলাপাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চলমান রয়েছে। ০৬ নং ওয়ার্ডের মধ্য লোন্দা গ্রামের বাসিন্দা রাজা মোল্লা জানান,  গেল বর্ষার সিজনে আমার বাড়ির খোয়াড় থেকে দুটি গরু চুরি করে নিয়ে যায় এডওয়ার্ড সহ ৭-৮ জন লোক কিছুই করতে পারিনি তারা দা, রামদা,  বন্দুক নিয়া আসছিলো।  আরেক ভুক্তভোগী আলামিন মৃধা জানান,  ২০১৮ সালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এডওয়ার্ড আমার পেটে তিনবার  ছুরি ডুকিয়ে দেয় আমি মৃত্যু থেকে বেঁচে ফিরছি। সেলুন কর্মচারী মস্তফা মুন্সি জানান,  আমার মেয়ের জামাই আমার বাড়িতে বেড়াতে আসার পর প্যাদার হাটে ঘুরতে গেলে তাকে ধরে নিয়ে যায় এডওয়ার্ড সহ ৭- ৮ জন নদীর চরে নিয়ে বেঁধে মারধর করে আমার নিকট ৪০ হাজার টাকা দাবি করে এডওয়ার্ড পরে ২০ হাজার টাকা দিয়ে হাত পা ধরলে ছেড়ে দেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান,  প্যাদার হাটে নামে মাত্র  লাইসেন্স বিহিন ঔষধ বিক্রি করেন লেখাপড়া না করা এডওয়ার্ড যার মূল কাজ ইয়াবা, গাজা  খাওয়া ও বিক্রি করা।  তার ভাল সালাহউদ্দিন পুলিশের চাকরি করে বিধায় তার প্রভাবে তাকে কেউ কিছু বলে না।  বিগত দিনে একাধিক বার থানায় অভিযোগ করে উল্টো এই মাদকাসক্ত ব্যক্তি দ্বারা মারধরের শিকার হয়েছিল একাধিক ব্যক্তি বলে স্থানীয় সুত্র জানায়। গ্রামের  রোগীদের ভুল ঔষধ দিয়ে একাধিক রোগীকে মৃত্যুর সম্মুখীন করেছেন।  অপর এক বাসিন্দা ষাটোর্ধ ইদ্রিস হাওলাদার ক্রন্দনরত অবস্থায় বলেন, তিন বছর আগে আমি এডওয়ার্ড এর দোকান থেকে ১২০  টাহার ওষুধ বাহিতে কিনি ১ সপ্তাহ পর আমি টাহা দেতে গ্যালে খাতা বাইর কইররা আমার কাছে ৫০০ টাহা চায় আমি ৫০০ টাহা দেতে রাজি না হইলে আমারে লাডি দিয়া পিডায় হেইতে আমার মেরুদণ্ডে মারাত্মক ব্যাথা পাই থানায় গ্যাছেলাম বিচার পাই নাই এখন আমি ঠিকমতো  আটতে পারি না আমি ওর বিচার চাই । এছাড়াও স্কুল পড়ুয়া ছেলেদের দিয়ে মাদক আনা নেয়ার কাজ  করে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন লোন্দা হাফিজ উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রদের  অভিবাবক।  স্থানীয় শিক্ষিত,  গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শর্তে জানান,  এই ডাকাত,  মাদকাসক্ত এডওয়ার্ড কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠিন বিচার করে আমাদের মুক্তি দিক রাষ্ট্রের কাছে এটাই আমাদের একমাত্র চাওয়া ।

Không có bình luận nào được tìm thấy