প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বেশিরভাগ দলেরই অভিযোগ– প্রচণ্ড গরম এবং বাজে মাঠের কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন ফুটবলাররা। গরমে খেলার মাঝে দিতে হচ্ছে কুলিং ব্রেক। তবে গরমের চেয়েও বেশি সমালোচনা হচ্ছে মাঠের মান নিয়ে।
বিশেষ করে ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবগুলো এই ভেন্যুগুলো নিয়ে বেশ হতাশ। তারা আশঙ্কা করছেন, যদি আগামী বছর এই মাঠগুলোতেই ফুটবল বিশ্বকাপ হয়, তাহলে বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে বিশ্ব ফুটবল।
গত পরশু রাতে পাচুকার বিপক্ষে ম্যাচের পর ক্লাব বিশ্বকাপের মাঠ নিয়ে প্রথম প্রকাশ্যে অভিযোগ জানান রিয়াল মাদ্রিদের ইংলিশ মিডফিল্ডার জুড বেলিংহ্যাম। এবার সেই তালিকায় যোগ দিলেন ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন পিএসজির কোচ লুইস এনরিকে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে সিয়াটলের লুমেন ফিল্ডে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব সিয়াটল সাউন্ডার্সকে ২-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউট পর্বে জায়গা করে নেয় পিএসজি। শেষ ষোলোতে তাদের প্রতিপক্ষ লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি। এই জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে মাঠ নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন এনরিকে।
তিনি বলেন, ‘এই মাঠগুলো ইউরোপের মান থেকে অনেক পিছিয়ে। পিচ এবং অনুশীলনের মাঠ– দুই জায়গার অবস্থাই উদ্বেগজনক।’
প্রথম ম্যাচে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদকে বড় ব্যবধানে হারালেও দ্বিতীয় ম্যাচে বোতাফাগোর কাছে হেরে যায় পিএসজি। ফলে অনেকে ধারণা করছিলেন, মাঠ নিয়ে সমালোচনা যেন হারের অজুহাত। কিন্তু সিয়াটলের বিপক্ষে জয় পেয়েও মুখ খুলেছেন এনরিকে, যেন সেটি অজুহাত হিসেবে মনে না হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আজ এটা বলছি, কারণ আমরা জিতেছি। তাই কেউ ভাববে না এটা হারের অজুহাত। পিচে বল খরগোশের মতো লাফায়। আজকের ম্যাচের কথাই ধরুন, আগে এটি ছিল কৃত্রিম পিচ, এখন ঘাস বসানো হয়েছে। ফলে হাফটাইমে পানি দেওয়া হলেও ১০ মিনিটেই শুকিয়ে যায়। এটা খেলোয়াড়দের জন্য একটা বড় সমস্যা।’
মাঠের মান নিয়ে ফিফাকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এনরিকে বলেন, ‘যদি তারা এই প্রতিযোগিতাকে সত্যিকার অর্থেই বিশ্বের সেরা বানাতে চায়, তাহলে শুধু স্টেডিয়ামের পিচ নয়, অনুশীলনের মাঠের দিকেও নজর দিতে হবে।’
এখানেই থেমে থাকেননি পিএসজি কোচ। উত্তেজিত গলায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়াসাংস্কৃতিক মান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘আমি কখনও ভাবতে পারিনি, একটি এনবিএ কোর্টে গর্ত থাকতে পারে। অথচ আমরা এমন স্টেডিয়ামে খেলছি, যেখানে বলটা লাফাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য ক্ষতিকর, হয়তো অন্যদের জন্য লাভজনক। কিন্তু ফুটবলের এই স্তরে এমনটা মেনে নেওয়া যায় না।’
আগামী রোববার (২৯ জুন) মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে শেষ ষোলোতে ইন্টার মায়ামির মুখোমুখি হবে পিএসজি।



















