close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

খন্দকার মোশাররফের নেতৃত্বে যমুনায় যাচ্ছে বিএনপি

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ? ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে যমুনায় বৈঠকে যাচ্ছে বিএনপির উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল। নেতৃত্বে রয়েছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এই বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়ে..

দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে নানা জল্পনা-কল্পনার মধ্যে নতুন করে আলোচনায় এসেছে একটি ব্যতিক্রমী বৈঠক।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আজ সন্ধ্যায় যমুনায় প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে যাচ্ছে।

শনিবার সকালে বিএনপি সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই বৈঠকটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সংলাপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। শুক্রবার রাতে ড. ইউনূসের পক্ষ থেকে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর কাছে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্র পৌঁছায়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সন্ধ্যায় যমুনা ফিউচার পার্ক সংলগ্ন একটি নিরিবিলি স্থানে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এ বৈঠকের আমন্ত্রণ পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানান, “ড. ইউনূস আমাদের রাজনৈতিক অবস্থান ও ভবিষ্যৎ পথনির্দেশনা নিয়ে কথা বলার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমরা এই আলোচনায় অংশ নিচ্ছি, এবং এটিকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখছি।”

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে চলা অচলাবস্থা ও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা নিরসনে এই বৈঠক হতে পারে একটি সম্ভাবনাময় উদ্যোগ। ড. ইউনূস এর আগে কখনো সরাসরি বড় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসেননি। তাই এই বৈঠকটিকে অনেকেই দেখছেন রাজনৈতিক সমীকরণে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে।

বিএনপির পক্ষ থেকে যেসব নেতা বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে খন্দকার মোশাররফ ছাড়াও রয়েছেন দলের মুখপাত্র ও নীতিনির্ধারকরা। জামায়াত থেকেও উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও এখন পর্যন্ত তাদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বৈঠক শুধু বিএনপি ও জামায়াত নয়, পুরো দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ প্রভাবিত করতে পারে। আলোচনা হবে শুধু নির্বাচন ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ঘিরেই নয়, বরং জাতীয় ঐক্য, নিরপেক্ষ সরকারের সম্ভাবনা ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সহাবস্থানের দিকেও।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ বলেন, “ড. ইউনূসের মতো একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব যখন এমন উদ্যোগ নেন, তখন সেটি নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। বিশেষ করে যদি তিনি দুই প্রধান রাজনৈতিক শক্তির মাঝে সেতুবন্ধন গড়ার চেষ্টা করেন, তাহলে সেটি একটি বড় ইতিবাচক বার্তা দিতে পারে।”

বৈঠক থেকে কি কোনো যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত আসবে? বিএনপি ও জামায়াত কি নতুন করে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সম্মত হবে? নাকি এটি হবে কেবল একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ—এই প্রশ্নগুলোর উত্তর মিলবে আজ সন্ধ্যার বৈঠক শেষে।

রাজনৈতিক অঙ্গন এখন অপেক্ষায়—যমুনার তীরে সন্ধ্যার আলোয় কী বার্তা নিয়ে আসছে খন্দকার মোশাররফদের বৈঠক!

Aucun commentaire trouvé


News Card Generator