close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার শারীরিক বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন কর্নেল অলি..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ হঠাৎ গিয়েছিলেন গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজা’য়। প্রায় ৪৫ মিনিটের বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হলো? দেশের রাজনীতিতে নতুন কোনো সঙ্কেত?..

রাজনীতির মাঠে যখন নানান জল্পনা-কল্পনা, তখন হঠাৎ করেই আলোচনায় এলেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (বীরবিক্রম)। তিনি রবিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন 'ফিরোজা'য় গিয়ে তার সঙ্গে প্রায় ৪৫ মিনিট সময় কাটিয়েছেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটের দিকে ফিরোজায় প্রবেশ করেন অলি আহমদ। এরপর সাড়ে ৮টার দিকে তিনি বাসভবন ত্যাগ করেন। এ সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাদের মধ্যে একটি 'সৌহার্দ্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ' বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

অলি আহমদের গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা সালাহউদ্দিন রাজ্জাক এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানান, “এটা ছিল সৌজন্য সাক্ষাৎ। কর্নেল অলি আহমদ বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন। দীর্ঘদিন পর সাক্ষাৎ হলেও আলোচনার পরিবেশ ছিল আন্তরিক ও ইতিবাচক।”

রাজনৈতিক ইঙ্গিতবাহী সময়েই সাক্ষাৎ!

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই সাক্ষাৎ এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হলো যখন দেশের রাজনীতিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। নির্বাচন পরবর্তী রাজনীতিতে বিরোধী দলগুলোর করণীয়, বিশেষ করে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সক্রিয়তা ঘিরে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কর্নেল অলি আহমদের এই সাক্ষাৎ রাজনৈতিক মহলে কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।

এছাড়া রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অলি আহমদের এই পদক্ষেপ একটি বিশেষ বার্তা বহন করতে পারে। কারণ এর আগে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি। ওই সময়েও তাদের মধ্যে প্রায় ৩০ মিনিট আলোচনা হয়েছিল। পরে ৭ জানুয়ারি চিকিৎসার উদ্দেশ্যে লন্ডন যাত্রা করেন অলি আহমদ।

পুরনো সম্পর্ক, নতুন বার্তা?

অলি আহমদ এবং খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সম্পর্ক বহু পুরোনো। এলডিপির জন্ম বিএনপি থেকে বেরিয়ে আসার মধ্য দিয়েই হলেও, অনেক সময় এই দুই নেতার মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করতে দেখা গেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কর্নেল অলির এই ঘনিষ্ঠতা ভবিষ্যতের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত দিতে পারে।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়েও উদ্বেগ

বৈঠকে মূলত খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়েই বেশি আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে ভুগছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। চিকিৎসকদের পরামর্শে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা চালিয়ে যেতে হচ্ছে তাকে। কর্নেল অলি আহমদ তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে পরামর্শ দেন বলেও জানা গেছে।


কী বার্তা দিলেন অলি আহমদ?

এই বৈঠককে কেউ কেউ ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ বললেও, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এটি নিছক সাক্ষাৎ নয় বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বরং এটি হতে পারে এক নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের সূচনা। কর্নেল অলির এই পদক্ষেপ কিসের ইঙ্গিত? তা সময়ই বলে দেবে।

לא נמצאו הערות