close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য বিশেষ ‘চেয়ার’ তৈরি করছেন জয়নাল..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে উপহার দিতে ৭ ফুট উচ্চতার বিশেষ চেয়ার তৈরি করছেন উখিয়ার এক নেতা। কেন বানাচ্ছেন, কী আছে চেয়ারে, কারা পাচ্ছেন বাকি চেয়ারগুলো? জানলে অবাক হবেন!..

উখিয়ার থাইংখালীর গ্রামবাংলার এক কোণে, নিভৃতে চলছে একটি ব্যতিক্রমী কাজ। রাজনীতি যেখানে কেবল পোস্টার আর মিছিলেই সীমাবদ্ধ, সেখানে এক তৃণমূল নেতা নিঃশব্দে তৈরি করছেন রাজনৈতিক ভালোবাসার এক অনন্য নিদর্শন—বিশেষ চেয়ার। আর এই চেয়ার শুধু বসার জন্য নয়, এটি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও আস্থার প্রতীক, যা তিনি উৎসর্গ করছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে।

জানা গেছে, কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী গ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয় ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদিন এই চেয়ারগুলো নিজ উদ্যোগে তৈরি করছেন। তাঁর ভাষায়, এটা শুধু উপহার নয়, নেত্রীর প্রতি একটি নিঃশর্ত ভালোবাসার স্বীকৃতি।

জয়নালের ভাষ্য অনুযায়ী, সেগুন কাঠ দিয়ে বানানো হচ্ছে মোট চারটি চেয়ার। যার মধ্যে সবচেয়ে বড় চেয়ারটি ৭ ফুট ৩ ইঞ্চি উচ্চতার, যা খালেদা জিয়াকে উপহার দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। চেয়ারের পুরো কাঠামোজুড়ে রয়েছে শৈল্পিক কারুকাজ, যা যেকোনো মানুষের দৃষ্টি কাড়বে।

এই বিশেষ চেয়ারের সঙ্গে আরও তিনটি আড়াই ফুট উচ্চতার চেয়ারও তৈরি করছেন জয়নাল। তারেক রহমান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সালাহউদ্দিন আহমদ—এই তিনজন বিএনপি নেতার জন্য তৈরি হচ্ছে সেই চেয়ারগুলো। এটি যেন একধরনের “চেয়ার দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো” উদ্যোগ।

জয়নালের ভাষায়, ২০১৭ সালে খালেদা জিয়া যখন রোহিঙ্গাদের দেখতে উখিয়ায় এসেছিলেন, তখন তিনি নেত্রীকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পান। সে মুহূর্তটি তাঁকে গভীরভাবে নাড়া দেয়। তখন থেকেই মনে একটি আকাঙ্ক্ষা জন্ম নেয়—নেত্রীকে একটি 'বিশেষ' কিছু উপহার দেওয়ার।

আমি তখন যুবদলের ওয়ার্ড সভাপতি ছিলাম। ভেবেছিলাম, রাজনীতির কঠিন সময়ে যারা দলের হাল ধরে রেখেছেন, তাদের জন্য এমন কিছু করব, যেটা অন্য কেউ চিন্তাও করে না। — বলেন জয়নাল।

২০১৮ সালের মাঝামাঝি তাঁর আসবাবের দোকান বন্ধ হয়ে গেলেও সেই সিদ্ধান্ত ভুলে যাননি তিনি। বছর পেরিয়ে গেছে, সময় গড়িয়েছে, তবুও আজও সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করে চলেছেন নিঃশব্দে।

স্থানীয়দের মধ্যে এই উদ্যোগ বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। কেউ বলছেন, "জয়নাল রাজনীতি করে ভালোবাসা দিয়ে, পদ-পদবি নিয়ে নয়।" আবার কেউ বলছেন, "ওনার মতো তৃণমূল কর্মীরা রাজনীতিতে আদর্শ ফিরিয়ে আনতে পারেন।

একটি চেয়ার, যার উচ্চতা সাত ফুট, কারুকাজে ভরপুর—তা হয়তো কোনো বড় প্রতিষ্ঠানের গ্যালারিতে জায়গা পেত, কিন্তু জয়নাল সেই চেয়ার বানাচ্ছেন তাঁর রাজনৈতিক মা খালেদা জিয়ার জন্য। আর এটাই রাজনীতির সেই দিক, যেটা পোস্টারে নয়, হৃদয়ে লেখা থাকে।

জয়নালের চেয়ার শুধু কাঠের নয়, তা গড়া হয়েছে স্মৃতি, ভালোবাসা ও রাজনৈতিক বিশ্বাস দিয়ে। এক নেতা যখন অন্য নেতাকে সম্মান জানানো এমন ব্যতিক্রমী উপায়ে উদ্যোগ নেন, তা নিঃসন্দেহে রাজনীতিতে এক মানবিক স্পর্শ এনে দেয়।

Không có bình luận nào được tìm thấy