খাগড়াছড়িতে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হওয়া এই ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসের ঝুঁকি বেড়েছে। জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, পৌর শহরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবার বর্তমানে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে।
সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে পৌর এলাকার কলাবাগান, সবুজবাগ, শালবন এবং কুমিল্লাটিলা এলাকাকে। পাহাড় ধসের আশঙ্কায় প্রাণহানি এড়াতে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই মাইকিং এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকজনকে সতর্ক করছে জেলা প্রশাসন।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজন চন্দ্র রায় বলেন,
“বৃহস্পতিবার থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করছি। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরতদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হচ্ছে। স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।”
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত কুমার সাহা জানান,
“গত দুই দিন ধরে মাইকিং এবং এলাকাবাসীকে সরিয়ে নিতে কাজ করছে প্রশাসন।”
এদিকে দীঘিনালা উপজেলার ৫নং বাবুছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গগন বিকাশ চাকমা জানান, টানা ১২ ঘণ্টার বৃষ্টিতে মাইনী নদীর পানি বেড়েছে। নদীতে লাকড়ি ধরতে গিয়ে একজন নিখোঁজ রয়েছেন। স্থানীয়রা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মো. এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন,
“আমি নিজে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যারা এখনো সরেনি, তাদের দুপুরের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে না এলে প্রয়োজনে জোরপূর্বক সরিয়ে নেয়া হবে। প্রাণহানি এড়াতে আমরা প্রস্তুত আছি।”
টানা বর্ষণের কারণে পাহাড়ি সড়কগুলোতেও ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের পক্ষ থেকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রয়োজনীয় জনবল ও সরঞ্জাম।
খাগড়াছড়ি দীঘিনালা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের বেলুন মেকার সুভূতি চাকমা জানান,
“শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টা পর্যন্ত খাগড়াছড়িতে ৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।”
		
				
			


















