close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

খা মেনি কে হ ত্যার পরিকল্পনা মানেই ‘প্যা ন্ডোরার বাক্স’ খুলবে: রাশি য়ার হুঁ শি য়া রি ইস রা য়ে ল-যুক্ত রাষ্ট্র কে....

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনিকে হত্যার চেষ্টা হলে রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া হবে ভয়াবহ—এমনই হুঁশিয়ারি দিল ক্রেমলিন। পুতিন প্রশাসন জানিয়ে দিল, ইরানে সরকার পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখা চরম ভুল!....

 

ইসরায়েল যদি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে, তবে তা গোটা মধ্যপ্রাচ্যে অগ্নিসংযোগের শামিল হবে—এমনই কড়া বার্তা দিল রাশিয়া। এই পরিকল্পনার পেছনে যদি যুক্তরাষ্ট্র থাকে, তাহলে পরিণতি হবে ‘চরম নেতিবাচক’—সরাসরি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।

শুক্রবার (২০ জুন) সকালে স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পেসকভ বলেন, “যদি যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ইসরায়েল খামেনিকে হত্যার চেষ্টা চালায়, রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া হবে অত্যন্ত কঠোর। আমরা তা দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করব এবং এর বিরোধিতা করব।”

তিনি আরও যোগ করেন, -এই ধরনের কোনো অপচেষ্টা ইরানের অভ্যন্তরে উগ্রবাদ ও চরমপন্থার নতুন ঢেউ আনবে, যা শুধু ইরান নয়, গোটা অঞ্চলকে অস্থির করে তুলবে। খামেনিকে হত্যার মতো চিন্তাও যে ভয়াবহ পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে, তা আগে থেকেই বিবেচনায় আনা উচিত।

সাক্ষাৎকারে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন পেসকভ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “ইরানে সরকার পরিবর্তনের চিন্তা করা বা সেই বিষয়ে আলোচনাও একেবারেই অগ্রহণযোগ্য ও অনর্থক।”

এই মন্তব্যকে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা প্রসঙ্গে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কড়া ও নির্ভুল প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিবেচনা করছেন।

রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ক বহু পুরনো, যা আরও দৃঢ় হয় ২০২২ সালের পর, যখন ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের সময় ইরান রাশিয়াকে শাহেদ কামিকাজে ড্রোন সরবরাহ করেছিল। সেখান থেকেই এই দুই রাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে।

এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত প্রশ্ন—যুক্তরাষ্ট্র কি ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে সরাসরি জড়াবে?

বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগামী দুই সপ্তাহ সময় নেবেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য।তিনি জানান, “ইরানের সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা একদিকে উঁকি দিচ্ছে, আবার অন্যদিকে যুদ্ধের ঝুঁকিও রয়েই গেছে। সুতরাং ট্রাম্প এ বিষয়ে ১৪ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন।

এদিকে মার্কিন পত্রিকা ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বুধবার (১৮ জুন) জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গোপনে ইরানে সামরিক হামলার পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছেন। তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সামরিক নির্দেশনা জারি করেননি। এমনটাই জানাচ্ছেন তার ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টারা।

বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েল যদি যুক্তরাষ্ট্রের ছায়ায় থেকে খামেনিকে হত্যার মতো জটিল ও বিপজ্জনক পদক্ষেপ নেয়, তাহলে এর প্রভাব শুধু ইরানেই নয়—সম্পূর্ণ মধ্যপ্রাচ্যে এক ভয়ঙ্কর অস্থিরতা ডেকে আনবে।

ইরান সরকারের শক্ত ভিত, বিপুল সংখ্যক রেভল্যুশনারি গার্ড এবং আন্তর্জাতিক মিত্ররা যে তা সহজে মেনে নেবে না, তা বলাই বাহুল্য।

সঙ্গে থাকছে রাশিয়ার সরাসরি হস্তক্ষেপের হুমকি—যা পরিস্থিতিকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকেও ঠেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এক ধরনের ‘প্যান্ডোরার বাক্স’ খোলা—যার পরিণতি পূর্ববর্তী কোনো উত্তেজনার সঙ্গেও তুলনীয় নয়।

রাশিয়া যেমন বলেছে—এই মুহূর্তে ইরানে সরকারের পরিবর্তন ‘অকল্পনীয়’, ঠিক তেমনি বিশ্লেষকরাও বলছেন, খামেনির মৃত্যুই যদি কোনো শক্তি ঘটাতে চায়, তবে তা হবে শুধু ভুল নয়—একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।

Không có bình luận nào được tìm thấy