🇧🇩 বাংলাদেশ এখন ‘নতুন বাংলাদেশ’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “এখনকার বাংলাদেশ আর আগের মতো নয়। লাখ লাখ তরুণ-তরুণী প্রস্তুত কাজ করার জন্য। এদের উদ্যম, প্রতিভা, সৃজনশীলতা দেখে আমি মুগ্ধ হই। এই তরুণরাই ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।”
তিনি বলেন, “এই তরুণরা শুধু প্রযুক্তি বা শিক্ষায় পারদর্শী নয়, সামাজিক আন্দোলনের নেতৃত্বও দিচ্ছে। এই সাহসী প্রজন্মই আমাদের ‘নতুন বাংলাদেশ’-এর আশা দেখিয়েছে। অতীতের অন্যায়, নিপীড়ন আর দুর্নীতিকে পিছনে ফেলে আমরা নতুন কিছু গড়তে চাই।”
অতীতের ভয়াবহতা থেকে উত্তরণের গল্প
প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পেছনের প্রেক্ষাপটও তুলে ধরেন ড. ইউনূস। বলেন, “গত বছরের জুলাইয়ে ছাত্রদের আন্দোলন আমাদের ইতিহাসে এক মোড় ঘোরানো মুহূর্ত ছিল। ১৬ বছর ধরে ভুয়া নির্বাচন, গুম, ব্যাংক লুট, টর্চার সেল, মেগা প্রকল্পের দুর্নীতি—সব মিলিয়ে দেশ ধ্বংসের দিকে যাচ্ছিল। ছাত্ররা বলেছিল ‘যথেষ্ট হয়েছে’। তাদের উপর গুলি চালানো হয়েছিল, অনেক তরুণ প্রাণ হারিয়েছিল।”
তিনি বলেন, “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করা, হাজার হাজার মানুষের ঢল—এ এক ভয়ানক ও ঐতিহাসিক দৃশ্য ছিল। আমি তখন দেশের বাইরে ছিলাম, আমাকে দেশে ফিরে দায়িত্ব নিতে হয়। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয় তখন থেকেই।”
সংস্কার আর নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি
ড. ইউনূস বলেন, “আমরা বিচার ব্যবস্থা, নিরাপত্তা, অর্থনীতিসহ নানা খাতে সংস্কার কমিশন গঠন করেছি। তারা সুপারিশ দেবে, আমরা বাস্তবায়ন করবো। এই প্রক্রিয়া শেষ হলেই নির্বাচন হবে। আর সে নির্বাচন হবে প্রকৃত অর্থে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার গঠনের জন্য।”
বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগ আহ্বান
সংবর্ধনায় উপস্থিত বিদেশি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে ড. ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ এখন উন্মুক্ত। আমরা আপনাদের স্বাগত জানাই। আসুন, বাংলাদেশকে দেখুন, আমাদের তরুণদের পরিচিত হন, এবং তাদের সঙ্গে ভবিষ্যত গড়ার যাত্রায় শামিল হোন।”
সংক্ষিপ্ত বুলেট পয়েন্টস:
-
কাতারের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান ড. ইউনূসের
-
বাংলাদেশকে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক হাবে পরিণত করার ডাক
-
তরুণ প্রজন্মকে ‘নতুন বাংলাদেশের’ চালিকা শক্তি হিসেবে তুলে ধরা
-
বিচার ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সংস্কার চলছে
-
নির্বাচন আসছে সংস্কার বাস্তবায়নের পর