ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক বরাবরই উত্তেজনাপূর্ণ, যার মূলে রয়েছে কাশ্মীর। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকে চারটি প্রধান যুদ্ধে দুই দেশ মুখোমুখি হয়েছে। প্রতিটি সংঘাত কাশ্মীর ইস্যুকে ঘিরে। যুদ্ধের ধরন বদলালেও এই দ্বন্দ্ব এখনো অমীমাংসিত।
স্বাধীনতার পরপরই কাশ্মীরের মহারাজা হরি সিং ভারতের সঙ্গে যুক্ত হন। পাকিস্তান-সমর্থিত উপজাতীয় বাহিনীর হামলায় শুরু হয় প্রথম যুদ্ধ। ১৯৪৯ সালে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির পর কাশ্মীর ভাগ হয়—ভারত পায় জম্মু ও কাশ্মীর, পাকিস্তান পায় আজাদ কাশ্মীর ও গিলগিট-বালতিস্তান। ফলাফল: কোনো পক্ষের স্পষ্ট বিজয় হয়নি।
১৯৬৫ সালে কচ্ছের রণ সীমান্তে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে পূর্ণযুদ্ধে। ব্রিটেনের মধ্যস্থতায় যুদ্ধ থামে। ১৯৬৮ সালে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল পাকিস্তানকে মাত্র ৩৫০ বর্গকিমি ভূমি দেয়। ফলাফল: ভারতের কৌশলগত জয়।
১৯৭১ সালের যুদ্ধ মূলত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক হলেও কাশ্মীর ইস্যু প্রাসঙ্গিক ছিল। ভারতের সামরিক ও কূটনৈতিক বিজয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। ফলাফল: ভারতের নিরঙ্কুশ বিজয়।
১৯৯৯ সালে পাকিস্তান-সমর্থিত গোষ্ঠী কারগিলের ভারতীয় চৌকি দখল করে। ভারতীয় সেনাবাহিনী তীব্র অভিযানে চৌকিগুলো পুনর্দখল করে। মার্কিন চাপে যুদ্ধ শেষ হয়। ফলাফল: ভারতের বিজয়।
চার যুদ্ধের মধ্যে ভারত ১৯৬৫, ১৯৭১ ও ১৯৯৯ সালে জয়ী হয়, ১৯৪৭-৪৮ যুদ্ধে কোনো পক্ষের স্পষ্ট বিজয় হয়নি। কাশ্মীর এখনো দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু। যুদ্ধ শেষ হলেও শান্তি এখনো অধরা।