স্বপ্নের ছুটি পরিণত হলো দুঃস্বপ্নে
হরিয়ানার কারনালের বাসিন্দা বিনয় নারওয়াল সম্প্রতি ১৬ এপ্রিল বিয়ে করেন। ১৯ এপ্রিল তাদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করার মাত্র কয়েক দিনের মাথায়, নিষ্ঠুরভাবে কেড়ে নেওয়া হলো তার জীবন। কোচিতে কর্মরত এই তরুণ কর্মকর্তা মাত্র দুই বছর আগে ভারতীয় নৌবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন।
শোকের ছায়া চারদিকে
এই হামলায় শুধু নারওয়াল নন, আরও অন্তত ২৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন মহারাষ্ট্রের পাঁচজন পর্যটক। এ ঘটনায় সারা দেশে শোক এবং ক্ষোভের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের নানা জায়গায় মানুষ মোমবাতি মিছিল বের করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বারামুল্লা, পুঞ্চ, কুপওয়ারা এবং শ্রীনগরেও স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নারওয়ালের প্রতিবেশী নরেশ বনসাল বলেন, “চার দিন আগে তার বিয়ে হলো। সবাই আনন্দে ছিল। এখন এই মর্মান্তিক খবর! আমরা যেন বিশ্বাসই করতে পারছি না।”
নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি অভিযান শুরু
হামলার পরই ভারতীয় সেনাবাহিনী ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ যৌথভাবে পহেলগামের বৈসরান এলাকায় হামলাকারীদের খুঁজে বের করতে অভিযান চালাচ্ছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দোষীদের কঠোর বিচারের আওতায় আনা হবে।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, “এই জঘন্য হামলার পেছনে যারা আছে, তারা শাস্তি থেকে রেহাই পাবে না।” উপ-মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের কার্যালয় থেকেও শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
এই হামলা শুধু একজন অফিসারের মৃত্যু নয়, একটি পরিবারের স্বপ্নের ছিন্নভিন্ন হওয়ার গল্প। এটি আবারো স্মরণ করিয়ে দিলো, কাশ্মীরের পরিস্থিতি এখনও কতটা অস্থির এবং সাধারণ মানুষ কতটা ঝুঁকির মুখে রয়েছে।