পহেলগাম হামলার রেশ কাটেনি, আবারও গোলাগুলি
ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পহেলগামের সেই মর্মান্তিক হামলায় পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা জড়িত। নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, হামলায় অংশ নেওয়া তিন বন্দুকধারী পাকিস্তানি নাগরিক এবং তারা এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্য।
এই ঘটনার পর ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে, ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন এবং তদন্তের অগ্রগতি তদারকি করবেন বলে জানানো হয়েছে।
পাল্টা পদক্ষেপে ভারত-পাকিস্তান
পহেলগাম হামলার পর ভারত কড়া ভাষায় পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক প্রতিরক্ষা ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে। পাকিস্তানও ভারতের এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে পালটা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশের মাঝে ২০২১ সালে হওয়া যুদ্ধবিরতির চুক্তি আবারও লঙ্ঘনের মুখে পড়লো। ইতোমধ্যে, কূটনৈতিক মহলে নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে—এই সংঘর্ষ কি আরও বড় পরিসরে রূপ নেবে?
পুলিশের পুরস্কার ঘোষণা, পাকিস্তানের অস্বীকার
ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের সম্পর্কে তথ্য দিতে পারলে ২০ লাখ রুপি পুরস্কার দেওয়া হবে। যদিও ইসলামাবাদ এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও সংশ্লিষ্টতা আছে বলে অস্বীকার করেছে।
জাতিসংঘের উদ্বেগ
কাশ্মীরের বর্তমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশ—ভারত ও পাকিস্তান—কে সংযত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
উপসংহার
কাশ্মীরের শান্তি আবারও হুমকির মুখে। পহেলগামের রক্তাক্ত হামলা, নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে গোলাগুলি এবং কূটনৈতিক তিক্ততা সব মিলিয়ে উপমহাদেশে নতুন করে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ তৈরি করেছে। এই সংকট এখন শুধু সীমান্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, বরং তা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।