close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

কালও চলবে লাগাতার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
এনবিআর ভাঙনের প্রতিবাদে কর্মকর্তাদের লাগাতার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি চলবে কালও। আলোচনায় না ডাকায় ক্ষোভ, বিক্ষোভে উত্তাল পুরো এনবিআর প্রশাসন।..

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলন আরও তীব্র রূপ নিচ্ছে। ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’-এর নেতৃত্বে আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আজ শনিবার (২৮ জুন) সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি পালন করেছেন। এই কর্মসূচি আগামীকাল রবিবারও (২৯ জুন) চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ঐক্য পরিষদের নেতারা।

আজ সকাল থেকেই রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ের সামনের চত্বর ছিল উত্তপ্ত। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শত শত কর্মকর্তা-কর্মচারী সেখানে জড়ো হন। ব্যানার, পোস্টার হাতে দাঁড়িয়ে থাকা এসব কর্মকর্তা প্রতিবাদ জানান সরকারের নেয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে।

এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতারা জানিয়েছেন, এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য এনবিআরকে বিভক্ত করার সরকারি উদ্যোগ প্রতিহত করা। কারণ, গত ১২ মে সরকার একটি অধ্যাদেশ জারি করে এনবিআরকে দুই ভাগে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরই প্রতিবাদে চলছে এই ধারাবাহিক আন্দোলন।

ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে যেসব আলোচনা হয়েছে, সেগুলোর কোনোটিতেই এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এমনকি অর্থ উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ২৭ জুন জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেও ঐক্য পরিষদের অংশগ্রহণ ছিল না।

ঐক্য পরিষদ এক বিবৃতিতে জানায়, “আমাদের বাদ দিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আমরা মানি না। অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের কোনো প্রতিনিধি আলোচনায় ছিল না। এমন একতরফা সিদ্ধান্ত আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।”

এই অবস্থান থেকেই তারা ঘোষণা দেয় যে, আগামীকালও চলবে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ এবং এনবিআর অভিমুখে শান্তিপূর্ণ ‘মার্চ’।

গত ২১ জুন থেকে এনবিআরের অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কলম বিরতি এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। ২৩ জুন থেকে কর্মসূচির রূপ আরও তীব্র হয়। এরপর ২৬ জুন এনবিআর কার্যালয়ে গেট বন্ধ করে আন্দোলনকারীদের প্রবেশ ঠেকানোর চেষ্টা চালানো হয়। তা সত্ত্বেও আন্দোলনকারীরা শক্ত অবস্থানে অটল থাকেন।

২৮ জুন থেকে সারাদেশের ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট দফতরে পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন কার্যকর হয়। এনবিআরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবাকে এই আন্দোলনের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে, যাতে জনসাধারণের ভোগান্তি না হয়।

এনবিআরের কর্মকর্তারা বলেছেন, সরকার আলোচনার মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট সমাধান না দিলে এই আন্দোলন শুধু দীর্ঘায়িতই হবে না, বরং আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে।

ঐক্য পরিষদের এক মুখপাত্র বলেন, “আমরা চাই এনবিআর অটুট থাকুক। এর সংস্কার হোক কার্যকর ও গ্রহণযোগ্য আলোচনার মাধ্যমে। কিন্তু আমাদের বাদ দিয়ে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তা শুধু প্রশাসনিক নয়, প্রজাতান্ত্রিক ব্যবস্থারও অবমাননা।”

সরকারের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন কোনো আলোচনার প্রস্তাব আসেনি। এদিকে আন্দোলন দিন দিন আরও বিস্তৃত হচ্ছে।

এনবিআরকে কেন্দ্র করে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তা এখন একটি সর্বব্যাপী প্রশাসনিক সংকটের রূপ নিয়েছে। কর্তৃপক্ষ যদি দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে না পৌঁছায়, তবে দেশের রাজস্ব আদায় ব্যবস্থায় বড় ধরনের স্থবিরতা দেখা দিতে পারে। এতে প্রভাব পড়বে জাতীয় অর্থনীতির ওপরও।

Keine Kommentare gefunden


News Card Generator