close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

কালিগঞ্জে গৃহবধূর জমি দখলের অভিযোগ, নিরাপত্তাহীনতায় এক পরিবার..

এস এম তাজুল হাসান সাদ avatar   
এস এম তাজুল হাসান সাদ
****

কালিগঞ্জে গৃহবধূর জমি দখলের অভিযোগ, নিরাপত্তাহীনতায় এক পরিবার

কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিনিয়ত হুমকি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন হাফিজা খাতুন (৫২) নামে এক গৃহবধূ। সোমবার (১৬ জুন) সকালে কালিগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ তুলে ধরে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে হাফিজা খাতুন জানান, কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের হাসানকাটি গ্রামের বাসিন্দা তিনি। ১৯৯১ সালে তিনি সূর্যকান্ত বিশ্বাসের নিকট থেকে হাসানকাটি মৌজার (জেএল নং-১৬৩) ২৬৯২ নম্বর সাব-কবলা দলিলমূলে সাড়ে ২৯ শতক জমি ক্রয় করেন। হাল জরিপ অনুযায়ী বর্তমানে ৪৬ নং খতিয়ানের ৩০ দাগে তার মালিকানাধীন জমির পরিমাণ ২৬ শতক, যেখানে তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরিবারসহ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, একই দাগের কিছু জমি পরবর্তীতে সূর্যকান্ত বিশ্বাসের ভাই মনিকান্ত বিশ্বাসের কাছ থেকে ক্রয় করেন একই গ্রামের দুলাল বিশ্বাস (৮০)। ওই জমির যাতায়াতপথ না থাকায় তৎকালীন ইউপি সদস্য এস এম আবু তাহেরের অনুরোধে হাফিজা খাতুনের স্বামী মানবিক বিবেচনায় তাদেরকে হেঁটে চলাচলের জন্য জমির একটি অংশ পথ হিসেবে ব্যবহার করতে দেন। তবে শর্ত ছিল, বিনিময়ে অন্য পাশে জমি দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করা হবে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় উল্টো ওই পরিবার নানা রকম হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করে।

হাফিজা খাতুন অভিযোগ করেন, দুলাল বিশ্বাস, তার ছেলে রমেশ বিশ্বাস (৪০), দেবাশীষ বিশ্বাস (৩৭), জয়দেব বিশ্বাস (৩২) এবং সহযোগী নিতাই বিশ্বাস (৩৫) দীর্ঘদিন ধরে তাদের পরিবারকে ভয়ভীতি, গালিগালাজ ও শ্লীলতাহানির হুমকি দিয়ে আসছে। সম্প্রতি জমি বিক্রির প্রক্রিয়ায় থাকা অবস্থায় বিষয়টি সমাধানে অনুরোধ করলে আরও ভয়ঙ্কর হুমকি দেওয়া হয়। তার মেয়ে শিরিনা পারভীনকে ধর্ষণের হুমকি, মামলা দিয়ে হয়রানি এবং প্রাণনাশের আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি।

এ বিষয়ে গত ১৪ জুন হাফিজা খাতুনের মেয়ে শিরিনা পারভীন কালিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং: ৫৮১) করেছেন। এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে রমেশ বিশ্বাস, দেবাশীষ বিশ্বাস, জয়দেব বিশ্বাস ও নিতাই বিশ্বাসকে।

হাফিজা খাতুন আরও অভিযোগ করেন, তাদের ব্যক্তিমালিকানাধীন পথটিকে সরকারি দাবি করে প্রচার চালানো হচ্ছে, অথচ সেটি রেকর্ডীয় সম্পত্তির অংশ। এমনকি রাতের অন্ধকারে কিছু ইট বসিয়ে সেটিকে ‘সরকারি রাস্তা’ হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এ বিষয়ে থানার উপ-পরিদর্শক রাজীব সরদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের পরামর্শ দেন। হাফিজা খাতুন ও তার পরিবার এরপরই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, যা বর্তমানে বিচারাধীন।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে হাফিজা খাতুন প্রশাসনের কাছে তার ও পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য জোর দাবি জানান।

Không có bình luận nào được tìm thấy


News Card Generator