close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

কাজল মাংশ টিউমারে আক্রান্ত, বাবা কামরুলের অসহায় অবস্থা

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার: avatar   
শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার:
১৮ বছরের কাজল মাংশ টিউমারে আক্রান্ত হয়েছেন, যার চিকিৎসার জন্য বাবা কামরুল ইসলাম অসহায় অবস্থায় পড়েছেন..

শেখ আমিনুর হোসেন, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা: মোছা: কাজল মাংশ টিউমার রোগে আক্রান্ত। বয়স ১৮ বছর। সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের কদমখালী (ছোটজগন্নাথপুর) গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের মেয়ে সে। বাবা পেশায় একজন ভ্যানচালক যার সামান্য আয়ে সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হয়। 

কাজলের বাবার ভাষ্যমতে, কাজলের বয়স যখন সাড়ে ৫ বছর তখন তার পিঠে মাংশ বৃদ্ধি হতে দেখা যায়। মাংশ বৃদ্ধি হতে থাকলে দীর্ঘদিন হোমিওপ্যাথী চিকিৎসা নেন কাজল। তারপর টিউমারের আকার বৃদ্ধি হতে থাকলে কাজলের বাবা কাজলকে নিয়ে দৌড়াতে থাকেন নানা হাসপাতালে। বিভিন্ন চিকিৎসকের চিকিৎসা নেয়ার পরেও রোগমুক্তি মেলেনা কাজলের। এভাবে ৭ টি বছর টিউমারের যন্ত্রণা বয়ে নিয়ে বেড়ায় সে। এরপর টিউমারের আকার অতিরিক্ত বৃদ্বি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ২০১৪ সালে প্রথমবার সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে টিউমার অপারেশন করে। অপারেশনের পর কিছুদিন কাজল সুস্থ্য থাকলেও আবারও শুরু হয় যন্ত্রণা ও মাংশ বৃদ্ধি। এভাবে ধীরে ধীরে পুনরায় কাজলের পিঠে টিউমারের মাংশ বৃদ্ধিপায় এবং রক্ত-পুজ বের হতে থাকে। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে ২০২৯ সালে ঢাকায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ২য় বারের মতো টিউমার অপারেশন করা হয়। তারপর কিছুদিন সুস্থ্য থাকার পর আবারও পিঠ জুড়ে মাংশ বৃদ্ধি হতে দেখা যায়। বাড়তে থাকতে অসহনীয় যন্ত্রণা। একমাত্র কন্যাকে নিয়ে রোগমুক্তি আশায় দৌড়াতে থাকে এক হাসপাতাল থেকে আর এক হাসপাতালে। যন্ত্রণা বাড়তে থাকে কাজলের। কন্যাকে নিয়ে নানা হাসপাতালে যাওয়ায় নিজেও কাজ করতে পারেননা কাজলের বাবা কামরুল ইসলাম। এরপর আবারও টিউমারের আকার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি হতে থাকলে ২০২৩ সালে ঢাকায় বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (পিজি হাসপাতাল) ৩য় বারের মাতো অপারেশন করে টিউমারের মাংশ অপসারণ করা হয়। অপারেশন করার পরে কিছুদিন কাজল সুস্থ্য থাকলেও আবারও টিউমারের যন্ত্রণা শুরু হয়। বাড়তে থাকে টিউমারের মাংশ।

ইতোমধ্যে শেষ হয়ে যায় জমানো সব টাকা। আত্মীয়স্বজনদের থেকে ধারও করেছেন অনেক। সব সম্বল শেষ করেও কন্যাকে সুস্থ্য করে তুলতে পারেননি গরীব ভ্যান চালক কামরুল। কন্যার চিকিৎসার জন্য এপর্যন্ত ৭ লক্ষ টাকার উপরে ব্যায় করেছে কামরুল। দিনে দিনে এভাবেই পিঠের মাংশ বৃদ্ধি, যন্ত্রণা ও ঘা হয়ে রক্ত-পুজ বের হতে থাকলে গত বছরে কাজলকে চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যায় কামরুল। কিন্তু সেখানে চিকিৎসক জানিয়েছেন কাজলকে সুস্থ্য করে তুলতে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মতো ব্যায় হবে। ব্যায়বহুল চিকিৎসার কথা শুনে সামান্য আয়ের ভ্যান চালক কামরুল কন্যাকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা করাচ্ছেন। এতো টাকা ব্যায়ে কাজলের চিকিৎসার ব্যায়ভার করা তার একার পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানান কামরুল। কন্যাকে নিয়ে নানা হাসপাতালে যাওয়ায় নিজেও কাজ করতে পারেননা কামরুল। ফলে দিন আনা দিন খাওয়া সংসারে ঠিকঠাক চুলাও জ্বলছে না।

এখন মেয়ের চিকিৎসা ও ঔষধ খরচ কামরুলের পক্ষে চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য একমাত্র মেয়ে কাজলকে বাঁচাতে শেষ অবলম্বন হিসেবে দেশবাসী, প্রধান উপদেষ্টা ও সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।

কাজলের বাবা কামরুল ইসলামের মোবাইল নম্বর- ০১৭৪২ ৮৩৬ ৫৭৭। যে কোনো সহায়তা পাঠানোর জন্যে বিকাশ- ০১৭৪২ ৮৩৬ ৫৭৭ (পার্সোনাল)।

Không có bình luận nào được tìm thấy


News Card Generator