close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

কাজে ফিরলেন স্টাফরা, স্বাভাবিক মেট্রোরেলের কার্যক্রম

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
মেট্রোরেল কর্মীদের লাঞ্ছনার প্রতিবাদে শুরু হওয়া কর্মবিরতি শেষ হয়েছে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)-এর এমডির আশ্বাসে স্টাফরা কাজে ফিরেছেন, ফলে মেট্রোরেলের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে।..

 

স্টাফদের প্রত্যাবর্তন, মেট্রোরেল ফের স্বাভাবিক

মেট্রোরেলের চারজন কর্মীকে মৌখিক ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার বিচারের দাবিসহ ৬ দফা দাবিতে কর্মবিরতিতে যাওয়া স্টাফরা অবশেষে কাজে ফিরেছেন। সোমবার সকাল থেকে স্টেশনে হাজির হলেও কাজে অংশ নেননি তারা। এতে যাত্রীসেবা ব্যাহত হয় এবং অধিকাংশ যাত্রী বিনা টিকিটে ভ্রমণের সুযোগ পান।

সকাল পৌনে ৯টায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশনে এসে স্টাফদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের দাবি আদায়ে আশ্বাস দেন। তার এ আশ্বাসের পর স্টাফরা কাজে ফেরেন।

কী ঘটেছিল?

গত ১৬ মার্চ বিকালে সচিবালয় মেট্রোরেল স্টেশনে ঘটে যাওয়া এক ঘটনার জেরে এ কর্মবিরতি শুরু হয়। ওইদিন সিভিল পোশাকে দুই নারী বিনা টিকিটে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেন এবং সুইং গেট ব্যবহার করে পেইড জোন থেকে বের হতে চান। কর্তব্যরত সিআরএ কারণ জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যরা তর্কে জড়ান। পরে দুই এপিবিএন সদস্য একইভাবে সুইং গেট ব্যবহার করলে তাদেরও কারণ জিজ্ঞাসা করা হয়। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে পুলিশের আরও কয়েকজন সদস্য এসে মেট্রোরেল কর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান।

পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন এক পুলিশ সদস্য রাইফেল দিয়ে এক কর্মীর কাঁধে আঘাত করেন এবং অপর এক কর্মীকে টেনে নিয়ে মারধর ও বন্দুক তাক করে গুলি করার হুমকি দেন। এ সময় উপস্থিত স্টাফ ও যাত্রীদের হস্তক্ষেপে আহত কর্মীকে উদ্ধার করা হয়। উভয় পক্ষই আহত হওয়ার অভিযোগ করে।

স্টাফদের ৬ দফা দাবি

ঘটনার পর মেট্রোরেল স্টাফরা ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন:

১. ঘটনার মূলহোতা এসআই মাসুদকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে। ২. মেট্রোরেল স্টাফ ও যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনী গঠন করতে হবে। ৩. এমআরটি পুলিশকে বাতিল করতে হবে। ৪. স্টেশনে কর্মরত সকল কর্মীর শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ৫. অফিসিয়াল পরিচয়পত্র ও অনুমতি ছাড়া কেউ যেন পেইড জোনে প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। ৬. আহত কর্মীদের সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।

ডিএমটিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ স্টাফদের দাবি বিবেচনায় নেওয়ার আশ্বাস দেন। এতে স্টাফরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে আসেন। বর্তমানে মেট্রোরেল চলাচল ও যাত্রীসেবা পুনরায় স্বাভাবিক হয়েছে।

Hiçbir yorum bulunamadı