close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

কা'শ্মীর সী'মান্তে টানা ৮ রাত ধরে গো'লা গু লি! যু'দ্ধে র ময়'দানে রূ'প নিচ্ছে ভা'রত-পাকি'স্তান সম্পর্ক..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
কাশ্মীর সীমান্তে আবারো উত্তপ্ত পরিস্থিতি! টানা অষ্টম রাতের মতো ভারত-পাকিস্তান সেনাদের গোলাগুলি—আশঙ্কা, সীমান্ত উত্তেজনা রূপ নিতে পারে বড় সংঘাতে। ইন্ডিয়া টুডের রিপোর্ট ঘিরে গোটা উপমহাদেশে বাড়ছে উদ্বেগ।..

কাশ্মীর সীমান্তে ফের দাউ দাউ আগুন।
জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক এক সন্ত্রাসী হামলার রেশ না কাটতেই নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর (LoC) টানা অষ্টম রাতেও চলল ভারত ও পাকিস্তান সেনাদের মধ্যে তীব্র গোলাগুলি। পরিস্থিতি দিন দিন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার (১ মে) গভীর রাতে এ সংঘর্ষ ঘটে। এই নিয়ে টানা আট রাত ধরে সীমান্তে দুই দেশের সেনারা পরস্পরের দিকে গুলি চালিয়েছে। এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া না গেলেও, সীমান্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, পাক সেনারা প্রথমে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালায়, যার জবাব দেয় ভারতীয় সেনারা। তবে, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীকেই অভিযুক্ত করা হয়েছে আগ্রাসনের জন্য।

কেন বাড়ছে উত্তেজনা?
বিশ্লেষকরা বলছেন, পেহেলগামের হামলাটি ছিল অত্যন্ত পরিকল্পিত এবং তার পেছনে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনের যোগসাজশ থাকতে পারে। হামলার পর থেকেই ভারত অভিযুক্ত করেছে পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে। সেই সূত্র ধরেই কাশ্মীর সীমান্তে সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছে নয়াদিল্লি।

অন্যদিকে, ইসলামাবাদ বলছে, এটি ভারতের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নাটক, যার মাধ্যমে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে জাতীয়তাবাদী আবেগকে উস্কে দেওয়া হচ্ছে।

সীমান্তবাসীদের উদ্বেগ বাড়ছে
গোলাগুলির ঘটনায় সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির মানুষজন চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় প্রতিটি রাতেই গুলির শব্দে কেঁপে উঠছে কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলো। অনেক পরিবার ইতোমধ্যে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে শুরু করেছে। ফসলের জমি ও ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়েও দেখা দিয়েছে মারাত্মক ক্ষতির আশঙ্কা।

কূটনৈতিক পর্যায়ে নীরবতা
এই মুহূর্তে দুই দেশের মধ্যে কোনো ধরনের উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক যোগাযোগ হচ্ছে না। উল্টো, সীমান্ত উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক সূত্র জানায়, “আমরা চুপচাপ বসে থাকব না। সীমান্তে প্রতিটি গুলির জবাব দেওয়া হবে। দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা কিছু দরকার, তাই করব।”

পাকিস্তান সেনার মুখপাত্রও জানিয়েছে, “যদি ভারত আগ্রাসন চালায়, আমরা তার যোগ্য জবাব দেব।”

বিশ্ব সম্প্রদায়ের উদ্বেগ
দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ বেড়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক মহলেও দুশ্চিন্তা বাড়ছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই দ্বিপাক্ষিক আলোচনার উদ্যোগ নেয়নি।



কাশ্মীর সীমান্তের এই টানা গোলাগুলি এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা যদি শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তবে দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা চরম হুমকির মুখে পড়বে। পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যেকোনো সামান্য সংঘর্ষও ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে যেতে পারে। এখন বিশ্ববাসী অপেক্ষা করছে—এই আগুনে পরিস্থিতিতে কে আগে এগিয়ে এসে শান্তির বার্তা দেবে।

没有找到评论