জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। যারা রাজনৈতিকভাবে সচেতন, তাদের প্রত্যেককে এ দায়বদ্ধতা গ্রহণ করতে হবে। শহীদরা কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থে রাস্তায় নামেননি, বরং দেশের প্রতি ভালোবাসা ও উন্নয়নের স্বপ্ন নিয়ে তারা আন্দোলনে অংশ নেন। এখন সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমাদের সবার।
বুধবার (৫ মার্চ) সকালে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী হাবিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হওয়া আব্দুস সামাদের জানাজায় তিনি এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের আন্দোলনে দেবিদ্বার রেয়াজ উদ্দিন সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন সামাদ। দীর্ঘ সাত মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
জানাজায় আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এফএম তারেক মুন্সি, কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম শহীদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হাসনাত খাঁন, দেবিদ্বার থানার ওসি মোহাম্মদ শামসুদ্দীন ইলিয়াসসহ সর্বস্তরের মানুষ। জানাজা শেষে আব্দুস সামাদকে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
শহীদ সামাদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় জনগণ তার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, "আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব শহীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলা। এই দেশকে ভালোবেসেই তারা জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাই তাদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না।"
শেষ কথা: জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মত্যাগ কখনো ভুলে যাওয়ার নয়। তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সাধারণ জনগণেরও সমান ভূমিকা রাখতে হবে।



















