close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: নতুন বিল পাস

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ওয়াশিংটন, (আন্তর্জাতিক ডেস্ক): যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে নতুন বিল পাস করেছে দেশটির কংগ্রেস। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস বৃহস্প
ওয়াশিংটন, (আন্তর্জাতিক ডেস্ক): যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে নতুন বিল পাস করেছে দেশটির কংগ্রেস। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস বৃহস্পতিবার এই বিলটি পাস করে, যার মাধ্যমে বর্ডার পেট্রোল থেকে পালিয়ে যাওয়া অভিবাসীদের স্থায়ীভাবে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতিতে আরও কঠোরতা আনবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে যারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিয়ম লঙ্ঘন করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিলের মূল বিষয়বস্তু ‘এজেন্ট রাউল গনজালেজ অফিসার সেফটি অ্যাক্ট’ নামে পরিচিত বিলটি ২৬৪-১৫৫ ভোটে পাস হয়েছে। এটি বিশেষভাবে লক্ষ্য করছে সেইসব অভিবাসীদের, যারা ফেডারেল অফিসারদের ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে প্রবেশ করতে চায়। বিল অনুযায়ী, যদি কেউ যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত থেকে ১০০ মাইল (প্রায় ১৬১ কিলোমিটার) এলাকার মধ্যে গাড়ি চালানোর সময় ইচ্ছাকৃতভাবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নির্দেশ এড়িয়ে চলে, তবে তাকে জেল, জরিমানা এবং দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। কঠোর বার্তা দিলেন হাউস স্পিকার হাউস স্পিকার মাইক জনসন বলেছেন, "যারা অবৈধভাবে আমাদের সীমান্ত অতিক্রম করে এবং আমাদের অফিসারদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করে, তাদের অবশ্যই কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। এই বিল সেই বার্তাই দিচ্ছে।" বিলটির নামকরণের পেছনের কাহিনি বিলটির নামকরণ করা হয়েছে বর্ডার পেট্রোল এজেন্ট রাউল গনজালেজ-এর নামে, যিনি ২০২২ সালে টেক্সাস সীমান্তে অবৈধ অভিবাসীদের ধাওয়া করার সময় এক দুর্ঘটনায় নিহত হন। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং সীমান্ত নিরাপত্তাকে আরও জোরদার করতে এই বিলটি আনা হয়েছে। ট্রাম্পের অবস্থান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসেই অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি গ্রহণ করেন। তিনি অভিবাসন আইন আরও কঠোর করার ইঙ্গিত দিয়েছেন এবং সীমান্ত সুরক্ষায় আরও শক্তিশালী নীতিমালা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করেছেন। প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনা বিলটি পাস হওয়ার পর থেকেই এটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিবাসন অধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এই বিল মানবাধিকারের পরিপন্থী এবং এটি অভিবাসীদের প্রতি অমানবিক আচরণকে উৎসাহিত করবে। অন্যদিকে, কংগ্রেসের রিপাবলিকান নেতারা বলছেন, এই আইন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত জরুরি। পরবর্তী পদক্ষেপ বিলটি এখন সিনেটে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। যদি এটি সিনেটেও পাস হয়, তবে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের পর এটি কার্যকর হবে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতিতে আসছে বড় পরিবর্তন! নতুন আইন কী প্রভাব ফেলবে? বিশ্লেষকদের মতামত জানতে পড়তে থাকুন…
No comments found


News Card Generator