close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
ইউক্রেন সংকট নিরসনে শুধুমাত্র যুদ্ধ বন্ধ করাই যথেষ্ট নয়, বরং দেশটিতে ভবিষ্যতে রাশিয়ার কোনো আগ্রাসন যেন আর না ঘটে, সেটি নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম আইটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
ট্রাম্পের পরিকল্পনার সীমাবদ্ধতা
জেলেনস্কি মনে করেন, যুদ্ধের অবসান ঘটানোর পাশাপাশি নিরাপত্তার নিশ্চয়তাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি উল্লেখ করেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার পুরোদমে আগ্রাসন শুরুর আগেও কিয়েভ বহুবার শান্তি চুক্তি ও আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছিল, কিন্তু তা ব্যর্থ হয়েছে। তাই একই ভুল তিনি আবার দেখতে চান না।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রচারিত সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, ‘একটি স্থায়ী সংঘাত যদি বারবার আরও আগ্রাসনের দিকে নিয়ে যায়, তাহলে এতে কারও বিজয় হবে না। এটি এক চূড়ান্ত পরাজয় হবে সকলের জন্য। এটি আমাদের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্যও।’
পুতিনকে আটকানোর কৌশল
জেলেনস্কির মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প শুধু যুদ্ধ শেষ করার পরিকল্পনা নিলেই হবে না, বরং তাকে এমন কৌশল নিতে হবে, যাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পুনরায় যুদ্ধের সুযোগ না পান। তিনি বলেন, ‘মূল বিষয় হলো, সবাইকে স্বীকার করতে হবে যে, যুদ্ধের অবসানের প্রকৃত অর্থ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা। এটি নিশ্চিত করা গেলে সেটিই হবে প্রকৃত জয়।’
মার্কিন ও ইউরোপীয় মিত্রদের ভূমিকা
জেলেনস্কি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থন থাকলে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে তিনি প্রস্তুত। তিনি বলেন, ‘যদি নিশ্চিত হতে পারতাম যে, আমেরিকা এবং ইউরোপ আমাদের পরিত্যাগ করবে না এবং তারা আমাদের সমর্থন করবে, তাহলে আমি যেকোনো ধরনের আলোচনার জন্য প্রস্তুত থাকতাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পাওয়া যায়, তাহলে যুদ্ধ সমাপ্তির ব্যাপারে আমরা এগিয়ে যেতে পারবো।’
বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাব
জেলেনস্কির এই মন্তব্য ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ ও বিশ্ব রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করছে। পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থন এবং কার্যকর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে না পারলে ইউক্রেনের জন্য শান্তি আলোচনার পথ কঠিন হয়ে উঠতে পারে।
বর্তমানে ইউক্রেনকে দেওয়া পশ্চিমা সহায়তার ভবিষ্যৎ ও ট্রাম্পের সম্ভাব্য কৌশল কী হতে পারে, তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে চলছে নানা আলোচনা। তবে জেলেনস্কির ভাষ্যে স্পষ্ট, যুদ্ধের সমাপ্তি তখনই হবে, যখন ইউক্রেন প্রকৃত নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পাবে এবং রাশিয়া আর কোনো আগ্রাসন চালাতে পারবে না।
Комментариев нет