close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

জুয়াড়ি ট্রাম্প, যুদ্ধ শুরু করেছো তুমি, কিন্তু শেষ করবো আমরা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইরানের পবিত্র ভূমিতে মার্কিন হামলার জবাবে ভয়ংকর পরিণতির হুঁশিয়ারি দিলো তেহরান। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সরাসরি হুমকি দিয়ে বললো— ‘তুমি যুদ্ধ শুরু করেছো, কিন্তু শেষ করবো আমরা।’ ইরান জানিয়ে দিলো, এবার পাল্ট..

তেহরান-বিষ্ফোরণ! ইরানের শীর্ষ সামরিক বাহিনীর হুঁশিয়ারি: যুক্তরাষ্ট্র এবার চরম মূল্য দেবে

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ফের চরমে। ইরানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক সামরিক হস্তক্ষেপকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষোভ ও প্রতিশোধের আগুন। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান, মেজর জেনারেল আমির হাতামি। তিনি সরাসরি বলেন, “আমেরিকানরা ইতিহাস জুড়ে অপরাধ করে এসেছে। কিন্তু প্রতিবারই তারা আমাদের কঠোর জবাব পেয়েছে। এবারও তারা ব্যতিক্রম কোনো ফল পাবে না।”

সোমবার (২৩ জুন) রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক বক্তব্যে হাতামি বলেন, ইরান কখনও যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসন সহ্য করেনি, আর এবারও করবে না। ইরানের সামরিক বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং যুক্তরাষ্ট্রকে এমন শিক্ষা দেওয়া হবে যা তারা ইতিহাসে মনে রাখবে।

এদিকে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)-এর মুখপাত্র ইব্রাহিম জোলফাগারিও তাঁর অবস্থান জানিয়ে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র এখন সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে নেমেছে এবং ইরানের পবিত্র ভূমি অপবিত্র করেছে। এর ফল ভয়ানক হবে।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা প্রতিশোধে বিশ্বাস করি না, আমরা ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এবার চরম, অনুতাপজনক ও অপ্রত্যাশিত পরিণতির মুখোমুখি হবে।

বিশেষ করে তার একটি বক্তব্য পশ্চিমা বিশ্বে তীব্র আলোড়ন তুলেছে। তিনি সরাসরি ইংরেজিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “Mr. Trump, you are a gambler! You may start the war, but we will be the ones to end it.” অর্থাৎ, “মিস্টার ট্রাম্প, তুমি জুয়াড়ি! যুদ্ধ শুরু করতে পারো তুমি, কিন্তু শেষ করবো আমরা!”

এ বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং ইরানি জনগণের মধ্যে মার্কিনবিরোধী ঐক্য আরও দৃঢ় হয়েছে।

এছাড়াও ইরানের সামরিক কমান্ড সেন্টার খাতাম আল-আনবিয়া সেন্ট্রাল হেডকোয়ার্টার থেকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলার কারণে এখন ইরানের প্রতিরক্ষা বাহিনী তাদের ‘বৈধ টার্গেটের পরিধি’ আরও বিস্তৃত করেছে। যা বোঝায়, মার্কিন বাহিনী, ঘাঁটি, এমনকি মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন মিত্রদের সামরিক স্থাপনাও এখন ইরানের নিশানায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই যুদ্ধোন্মাদ পরিবেশ কেবল ইরান-যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্বকে নয়, গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে নতুন এক সংঘর্ষের মুখে ঠেলে দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে এ নিয়ে বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ একটি রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ।

ইরান এখন আর প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে নেই — তারা এখন জবাব দিতে প্রস্তুত। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য এটি হতে পারে রাজনৈতিক বা সামরিক কৌশল; কিন্তু ইরানের মতে, এটি তাদের পবিত্র ভূমিতে সরাসরি হামলা। এবং এই হামলার জবাব হবে ধ্বংসাত্মক, নিখুঁত এবং ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তেহরান থেকে স্পষ্ট বার্তা— ‘আমরা যুদ্ধ চাই না, কিন্তু যদি চাপিয়ে দেওয়া হয়, তবে শেষটা আমরা করবো।

نظری یافت نشد