close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

যু ক্তরা ষ্ট্রকে পুরোনো ভিডিও দেখিয়ে হুঁ শি য়ারি খা মেনির..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
খামেনি পুরোনো হুঁশিয়ারি ভিডিও শেয়ার করে যুক্তরাষ্ট্রকে স্পষ্ট বার্তা দিলেন—ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করলে যুক্তরাষ্ট্রকেই গুণতে হবে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির মূল্য।....

তেহরান থেকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি—ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার জবাব ভয়ঙ্কর হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সামরিক পদক্ষেপের জেরে এবার মুখ খুললেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। শনিবার (স্থানীয় সময়) তাঁর অফিসিয়াল টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে এক পুরোনো ভিডিও বার্তা শেয়ার করে তিনি সতর্ক করেছেন ওয়াশিংটনকে। ভিডিওতে তাঁর বক্তব্য ছিল: “যদি যুক্তরাষ্ট্র ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে প্রবেশ করে, তবে তারা নিজেরাই ভয়াবহ ক্ষতির মুখোমুখি হবে। এই ক্ষতি হবে ইরানের ক্ষতির চেয়েও অনেক বেশি।

যদিও ভিডিওটি সম্পূর্ণ নতুন নয়, তবুও ঠিক এই সময় আবার শেয়ার করাটা একটি কৌশলগত বার্তা বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। খামেনির অফিস থেকে শেয়ার করা এই ভিডিওকে এক ধরনের “স্মারক হুঁশিয়ারি” হিসেবে দেখছে তেহরানের ঘনিষ্ঠমহল।

তারা বলছে, এই ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে ইরান একটি জিনিস স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিল—তারা এই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত, এবং যদি যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি হস্তক্ষেপ করে, তবে তারা আর চুপ করে বসে থাকবে না।

এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে দাবি করেন—
আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় অত্যন্ত সফল হামলা চালিয়েছি এবং আমাদের সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে।

এই তিনটি স্থাপনার নামও তিনি উল্লেখ করেন: ফোরদো, নাতানজ এবং ইসফাহান
এই হামলার সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পরপরই মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল এবং ইরান—এই ত্রিমুখী উত্তেজনার মধ্যে, ইরান এই ভিডিও বার্তা দিয়ে একরকম সাইকোলজিকাল ও রাজনৈতিক চাপ তৈরির চেষ্টা করেছে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা।

খামেনির ভিডিওতে এমন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে যা একদিকে যেমন সরাসরি হুমকি নয়, অন্যদিকে এমন বার্তা দিচ্ছে যা যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের ভাবতে বাধ্য করবে। “আমরা প্রস্তুত আছি, কিন্তু সংঘাত চাই না”—এই মিশ্র কৌশলের মাধ্যমেই তেহরান পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাচ্ছে।

হামলার ঘটনাগুলো আন্তর্জাতিক মহলেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং চীন—সবাই এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে খামেনির হুঁশিয়ারির পর বিষয়টি নতুন মোড় নিচ্ছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, এটা কেবল কথার লড়াই নয়—পরবর্তী ধাপে হয়তো ইরান নিজেও পাল্টা পদক্ষেপ নিতে পারে।

সাম্প্রতিক বিভিন্ন সামরিক মহড়া, রকেট উৎক্ষেপণ এবং ড্রোন প্রদর্শন ইঙ্গিত দেয় যে, ইরান নিজস্ব সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি একটি সম্মিলিত জবাবের জন্যও প্রস্তুত রয়েছে। খামেনির ভিডিও বার্তাও এই প্রস্তুতিরই অংশ।

পুরো বিশ্ব যখন মধ্যপ্রাচ্যের টানটান উত্তেজনায় দুলছে, তখন ইরানের সর্বোচ্চ নেতার এই ভিডিও হুঁশিয়ারি আরও একবার মনে করিয়ে দিল—এই যুদ্ধে যদি বাইরের শক্তি ঢোকে, তবে তা সবার জন্যই ভয়াবহ হবে।
খামেনির বার্তা শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, গোটা বিশ্বকেই ভাবতে বাধ্য করছে: “ইরান কেবল বসে দেখছে না, তারাও প্রস্তুত—প্রয়োজনে ভয়ঙ্কর জবাব দিতে।”

Hiçbir yorum bulunamadı


News Card Generator