close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

যশোরে আওয়ামী লীগ নেতা চান্দু মেম্বার ও ছাত্রলীগ নেতা আশা আটক..

সুভাষ মজুমদার avatar   
সুভাষ মজুমদার
আটককৃতরা হলেন ঝিকরগাছার হাড়িয়া গ্রামের আশরাফুল ইসলাম চান্দু মেম্বার এবং যশোর জেলা ছাত্রলীগের নেতা খোলাডাঙ্গা রকমারী মোড়ের আশরাফুর রহমান আশা।..

যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশের অভিযানে আওয়ামী লীগের এক মেম্বার ও ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন ঝিকরগাছার হাড়িয়া গ্রামের আশরাফুল ইসলাম চান্দু মেম্বার এবং যশোর জেলা ছাত্রলীগের নেতা খোলাডাঙ্গা রকমারী মোড়ের আশরাফুর রহমান আশা। রোববার দুপুরে খোলাডাঙ্গা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদেরকে যশোর-চুকনগর সড়কের কানাইতলা এলাকায় নাশকতার মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।


কোতোয়ালি থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম জানান, আটক দুইজনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ওই সরকারের আমলে তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গত বছরের ১৮ নভেম্বর বিকেলে একদল সন্ত্রাসী কানাইতলা এলাকায় নাশকতার উদ্দেশ্যে জড়ো হয়। তারা যানবহনে আগুন দেয় এবং সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেশীয় অস্ত্র, বোমাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মামলা হয় এবং সেই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ মামলায় তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। এছাড়া বর্তমানে তারা শেখহাসিনার বিভিন্ন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে নৈরাজ্যের চেষ্টা চালাচ্ছেন।


পুলিশের আরেকটি সূত্র জানায়, ছাত্রলীগ নেতা আশার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। গত শুক্রবার আশাসহ আরও চার-পাঁচজন মিলে শাফিন নামের এক কলেজ শিক্ষার্থীকে ধরে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না পেয়ে তাকে মারপিট করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এমন সময় স্থানীয়দের ধাওয়া খেয়ে আশাসহ কয়েকজন পালিয়ে যায়। আটক করা হয় যশোর শহরের খোলাডাঙ্গা মফিজপাড়া এলাকার মৃত জাহিদ মির্জার ছেলে জাহিন মির্জা এবং শংকরপুর এলাকার তুহিনের ছেলে রাতিনকে। এ ঘটনায় শাফিনের বাবা কোতোয়ালি থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি এই আশা। এ মামলায় তাকে শোন অ্যারেস্টের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানানো হয়।

没有找到评论


News Card Generator