যশোরের অভয়নগর উপজেলার সীমান্তবর্তী নড়াইল সদর উপজেলার চাকই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জানালার পাশে কীটনাশক প্রয়োগের ঘটনায় আট শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে । বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে চাকই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অসুস্থরা হলেন, চাকই পূর্ব পাড়া এলাকার তৌহিদুর রহমানের মেয়ে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী সানজিদা (১০), চাকই উত্তরপাড়া এলাকার ইসমাইল মীরে মেয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ইয়াসমিন (৯), চাকই পূর্বপাড়া এলাকার সুইট বিশ্বাসের মেয়ে সাওদা ইসলাম (১০), শেখ সেলিমের মেয়ে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী সাদিয়া ইসলাম (১০), রুখালী গ্রামের আলাউদ্দিন গাজীর মেয়ে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী উম্মে আয়মান (৯), চাকই মধ্যপাড়ার বিপ্লব শেখের মেয়ে তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী মর্জিনা আক্তার বিলকিস ( ৮), চাকই পশ্চিম পাড়ার কামরুজ্জামানের মেয়ে তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী ফারিয়া জামান (৮), চাকই পুর্বপাড়ার মাহবুব শেখের মেয়ে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী মোহনা খাতুন (১০)।
জানা যায়, বুধবার দুপুরে চাকই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিফিন চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীরা শ্রেনী কক্ষে অবস্থান করছিল। এসময় পার্শ্ববর্তী এলাকার জনৈক আবু বক্কার শেখের ছেলে ইসমাঈল শেখ স্কুলের জানালার পাশে কীটনাশক স্প্রে করে। এতে বিষের ক্রিয়া শিক্ষার্থীদের নাকে মুখে গিয়ে মুহূর্তে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিষয়টি টের পেয়ে স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক শামিমা সুলতানা শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এব্যাপারে জানতে চাইলে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা উলাশীনী রায় বলেন, আমার স্কুলের জানালার পাশে ইসমাঈল নামের এক ব্যক্তি বিষ স্প্রে করেছে। এতে স্কুলের আট শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এমন ঘটনার পেছনে কোন অসৎ উদ্দেশ্য আছে কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা হবে। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ইসমাঈল শেখ পলাতক রয়েছে। মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার মাহফুজুর রহমান সবুজ বলেন, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আট জন শিক্ষার্থীকে আমরা হাসপাতালে ভর্তি করেছি, চিকিৎসা চলছে সবাই এখন আশঙ্কা মুক্ত।
close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি



















