close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
ইসরায়েল ফের একটি যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। দেশটি জর্ডান সীমান্তে তাদের সৈন্য সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়িয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জর্ডান নিয়ে একটি বিতর্কিত প্রস্তাবনার পর এই সৈন্য সমাবেশ আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল টুয়েলভের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জর্ডান সীমান্তে ইসরায়েলি সেনার সংখ্যা দ্বিগুণ করা হয়েছে। তেল আবিবের দাবি, সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ ও মাদক চোরাচালান ঠেকাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে, হঠাৎ করে সৈন্যের সংখ্যা পাঁচ কোম্পানি থেকে দশ কোম্পানিতে উন্নীত করায় ইসরায়েলের আসল উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে যখন ফিলিস্তিনিদের জর্ডানে ঠেলে দেওয়ার প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে, তখন এই সৈন্য সমাবেশকে সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে।
ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে জর্ডান ইরানের প্রভাব বলয়ে রয়েছে এবং এই সীমান্ত দিয়ে চোরাচালানের পেছনে ইরানের হাত রয়েছে। তবে, জর্ডান সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অন্যদিকে, সীমান্ত এলাকায় ইসরায়েল বিরোধী মনোভাবও প্রবল। গত বছর কয়েকটি ঘটনায় ইসরায়েলি সেনারা নিহত হয়েছিলেন। এরপর নেতানিয়াহু ওই এলাকায় একটি শক্তিশালী প্রাচীর তৈরির ঘোষণা দিয়েছিলেন।
মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি সত্ত্বেও জর্ডান নিয়ে ইসরায়েলের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি কাজ করছে। ইসরায়েল মনে করে, একবার জর্ডান নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের পাঠাতে পারলে গাজা ও পশ্চিম তীরের ওপর তাদের নিরঙ্কুশ আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হবে। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই নেতানিয়াহু জর্ডান নিয়ে নতুন পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এই সৈন্য সমাবেশকে ইসরায়েলের 'বৃহত্তর ইসরায়েল' প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেও দেখা হচ্ছে। নেতানিয়াহুর এই পদক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে এবং আরেকটি যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে এবং পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে।
এই নিউজের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ জর্ডানের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি স্বরূপ।
ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি নতুন সংকট তৈরি হতে পারে।
মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা আরও বাড়তে পারে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে, ইসরায়েলের এই পদক্ষেপের কারণ ও পরিণতি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার জন্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর উপর নজর রাখা উচিত।
No comments found