চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর জমিদার আন্নর আলী খাঁর ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা এ বছর হচ্ছে না। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সবধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বৈশাখী মিয়ার মেলা উদযাপন কমিটি এ বছর বৈশাখী মেলা আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন আয়োজক কমিটি।
মঙ্গলবার বিকেলে মিয়াবাড়ির বংশধর ও আয়োজক কমিটির সদস্য শাহাদাত হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী দুই দিনব্যাপী এই মেলা প্রতিবছর বৈশাখের ৭ ও ৮ তারিখে অনুষ্ঠিত হতো। বর্তমানে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ বছর বৈশাখী মেলা আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবিষয়ে আমরা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), প্রশাসক, ২নং বড়উঠান ইউনিয়ন পরিষদ, কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবরে লিখিতভাবে জানিয়েছি।’
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় ২০০ বছর ধরে এই বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এ উপলক্ষে এলাকায় উৎসবের আমেজ দেখা দিতো। মেলার ঐতিহ্য অনুযায়ী স্থানীয় পরিবারগুলো আত্মীয়-স্বজনদের দাওয়াতও দিচ্ছেন। বর্তমানে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ বছর বৈশাখী মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি আয়োজক কমিটিকে।
অন্যদিকে আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের তৈলারদ্বীপ গ্রামের জমিদার এর্শাদ আলী সরকারের বৈশাখী মেলা ও বলিখেলাও এ বছর না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেলা আয়োজক কমিটি।
এর্শাদ আলী স্টেটের মেলা আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য মুহাম্মদ হানিফ চৌধুরী, আলী নেওয়াজ খান, হানিফ মুহাম্মদ এনামুল করিম চৌধুরী, আলী ফেরদৌস খান জানান, বিগত ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলা নববর্ষের ৪ বৈশাখ এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। আনোয়ারাসহ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার মেলা প্রেমীদের মাঝে এটি সরকারের মেলা নামে পরিচিত। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ বছর বৈশাখী মেলা আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।



















