close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

জিওকয়েন পলিগনে লঞ্চ: ভারতে ক্রিপ্টোর জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ভারতের শীর্ষস্থানীয় কর্পোরেশন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ তাদের নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি জিওকয়েন লঞ্চ করেছে, যা পলিগন ব্লকচেইন প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এ
ভারতের শীর্ষস্থানীয় কর্পোরেশন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ তাদের নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি জিওকয়েন লঞ্চ করেছে, যা পলিগন ব্লকচেইন প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এ উদ্যোগকে দেশের ক্রিপ্টো অর্থনীতির জন্য এক বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। জিও, যাদের বর্তমানে ৪৮ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে, এই নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে ডিজিটাল অর্থনীতিতে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার পরিকল্পনা করেছে। জিও স্পেস ব্রাউজার নামে তাদের একটি ওয়েব ৩-ভিত্তিক ব্রাউজারও চালু হয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের জিওকয়েন আয়ের সুযোগ দেবে। কীভাবে কাজ করবে জিওকয়েন? জিও স্পেস ব্রাউজারে সময় ব্যয় করলে ব্যবহারকারীরা জিওকয়েন অর্জন করতে পারবেন। এর মাধ্যমে “অ্যাটেনশন ইকোনমি”-কে কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত করা হবে। অ্যাটেনশন ইকোনমি হলো এমন একটি ধারণা যেখানে ইন্টারনেটে সময় ব্যয় করাকেও মূল্যবান সম্পদ হিসেবে গণ্য করা হয়। এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “জিও স্পেস ব্রাউজার” ব্যবহারকারীদের সময় এবং মনোযোগকে সঠিকভাবে নগদায়ন করার জন্য একটি বড় প্ল্যাটফর্ম হতে পারে। পলিগনের উপর ভিত্তি করে জিওকয়েন জিওকয়েনকে পলিগনের লেয়ার টু ব্লকচেইনের উপর স্থাপন করা হয়েছে। এর মানে হলো, ব্যবহারকারীদের সকল তথ্য এবং লেনদেন নিরাপদে ইথেরিয়াম ব্লকচেইনে সংরক্ষিত হবে। ব্যবহারকারীদের জন্য একটি ডিজিটাল ওয়ালেট তৈরির ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেখানে অর্জিত জিওকয়েন জমা থাকবে। যদিও বর্তমানে জিওকয়েনের লেনদেন বা মূল্য সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হয়নি, তবে এটি ভবিষ্যতে একটি উল্লেখযোগ্য ডিজিটাল সম্পদ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জিওকয়েনের সম্ভাবনা এবং ভবিষ্যৎ রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ জানিয়েছে, জিওকয়েনের মাধ্যমে তারা দেশীয় ব্রাউজার ব্যবহার এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার বাড়াতে চায়। এটি ভারতের ক্রিপ্টো ইকোসিস্টেমকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করবে। বিশ্লেষকদের মতে, জিওর ৪৮ কোটি ব্যবহারকারী এই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হলে এক রাতেই দেশের ৪৮ কোটি ডিজিটাল ওয়ালেট তৈরি হতে পারে। এটি ভারতকে বিশ্বব্যাপী ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষেত্রে একটি অগ্রণী অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে। তবে কিছু প্রশ্ন এখনও রয়ে গেছে। জিওকয়েন কি একটি স্টেবল কয়েন হবে, নাকি এটি কোনো এক্সচেঞ্জে লেনদেনযোগ্য হবে? এটি কি জিওর নিজস্ব ইকোসিস্টেমের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে নাকি বাইরের লেনদেনেও ব্যবহৃত হবে? এসব প্রশ্নের উত্তর এখনও অনিশ্চিত। সতর্কতা এবং সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ জিওকয়েনকে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক এবং সরকারের আর্থিক নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি জিওকয়েনকে রূপান্তরযোগ্য মুদ্রা হিসেবে চালু করা হয়, তবে এটি "প্যারালাল কারেন্সি" হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, যা আর্থিক নীতির সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটাতে পারে। জিওর এই উদ্যোগ শুধুমাত্র ভারতীয় প্রযুক্তি জগতে নয়, বরং আন্তর্জাতিক ক্রিপ্টো ইকোসিস্টেমেও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে চলেছে। ব্যবহারকারীদের জন্য এটি একদিকে যেমন লাভজনক, অন্যদিকে এটি প্রযুক্তিগতভাবে দেশীয় উদ্যোগকে এগিয়ে নেওয়ার একটি দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ।
No comments found