জিবিজি কলেজের নাইট গার্ড ইউসুফ হত্যা: ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন, দুই আসামির স্বীকারোক্তি..

আশিকুর রহমান avatar   
আশিকুর রহমান
ঘাটাইল প্রতিনিধি :- আশিকুর রহমান

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল জিবিজি কলেজের নৈশপ্রহরী মোঃ ইউসুফ (৪৫) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দুই আসামিকে গ্রেফতারপূর্বক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করানো হয়েছে।

 

ঘাটাইল থানা সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামি ১। মোঃ সবুজ মিয়া ওরফে ফরিদ (৪৫), পিতা-মৃত সাত্তার, সাং-লাঙ্গুলিয়া, থানা-মুক্তাগাছা, জেলা-ময়মনসিংহ এবং ২। মোঃ জুয়েল (৩৫), পিতা-মৃত খোয়াজ আলী, সাং-গৌরিশ্বর, থানা-ঘাটাইল, জেলা-টাঙ্গাইল—দুজনেই জিবিজি কলেজে ইউসুফের সহকর্মী ছিলেন এবং নাইটগার্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।

 

প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, নাইটগার্ডদের ডিউটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ইউসুফের সঙ্গে আসামিদের বিরোধ চলছিল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই তারা এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করে। ২০২৫ সালের ৫ জুন দিবাগত রাত অনুমানিক ১২:৪৫ থেকে ২:৩০ এর মধ্যে কলেজ প্রাঙ্গণের ভেতরেই ইউসুফকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরে মৃতদেহ গোপন করতে আসামিরা মরদেহ কলেজের উত্তর পাশে একটি নর্দমার (পাগার/ডোবা) মাঝখানে কচুরিপানার নিচে ফেলে রাখে।

 

ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে দ্রুত দুজন আসামিকে গ্রেফতার করে। মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে বিজ্ঞ আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডের জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যাকাণ্ডে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং তাদের দেখানো মতে ঘটনাস্থলের কাছ থেকে ইউসুফের ব্যবহৃত একটি নোকিয়া বাটন মোবাইল, একটি টর্চলাইট, একটি বাঁশি এবং একটি বল্লম মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়।

 

উল্লেখ্য, ১৪ জুন ২০২৫ খ্রিঃ তারিখ আসামি জুয়েল ও ফরিদ ১৬৪ ধারায় স্বেচ্ছায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।

 

মামলার বিবরণ:

 

মামলা নম্বর: ঘাটাইল থানা মামলা নং-০৫

 

তারিখ: ১০/০৬/২০২৫

 

ধারা: ৩০২/২০১/৩৪ দণ্ডবিধি ১৮৬০

 

বাদী: মোছাঃ আল্পনা খাতুন (২৯), সাং-চাঁন্দশী পশ্চিমপাড়া, থানা-ঘাটাইল, জেলা-টাঙ্গাইল

No comments found