close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন শেখ হাসিনা : কর্নেল অলি..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যার পেছনে শেখ হাসিনার ভূমিকা ছিল বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন এলডিপি প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। ভারতের প্রভাব, আওয়ামী লীগের উত্থান, এবং জিয়ার মৃত্যুর আগে-পরে রহ..

রাজনীতির অস্থির পরিস্থিতিতে এক চাঞ্চল্যকর দাবি করে দেশজুড়ে আলোচনা উসকে দিলেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ। বুধবার বিকেলে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এ বিষয়ে আমি বহুবার বলেছি, এবার আবারো বলছি—এই হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত ছিল এবং বিদেশি শক্তির পছন্দমতো বাংলাদেশে সরকার গঠনের অংশ হিসেবেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।”

অলি আহমদের বক্তব্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী রাজনীতিতে ভারতের গভীর প্রভাব ছিল এবং তাদের ‘পছন্দের সরকার’ বসানোর জন্যই একের পর এক ষড়যন্ত্র হয়েছে। তিনি বলেন, “প্রথমে ভারত চেয়েছিল শেখ মুজিবুর রহমানকে, এরপর তারা চাইলো জিয়াউর রহমানের জায়গায় তাদের অনুগত কাউকে বসাতে। এই উদ্দেশ্যেই হত্যা করা হয় রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে।”

তিনি আরও দাবি করেন, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেত্রী সাজেদা চৌধুরী জিয়ার হত্যার আগমুহূর্তে আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। অলি আহমদ বলেন, “তারা আখাউড়া সীমান্তে ধরা পড়েছিল। তৎকালীন বিডিআর তাদের আটক করে ফিরিয়ে আনে। এরপর মাত্র ১৭-১৮ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন। এটা কি কাকতালীয়? নাকি এর পেছনে ছিল গভীর ষড়যন্ত্র?”

কর্ণেল অলি তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, “আমি স্পষ্টভাবে বলছি—আওয়ামী লীগকে যদি স্বাধীনতার পরপরই নিষিদ্ধ করা হতো, তাহলে বাংলাদেশ আজ বিশৃঙ্খলা থেকে মুক্ত থাকতো। এই দল আজ আর কখনো জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য দল হয়ে উঠতে পারবে না। তাদের অতীত ইতিহাস, সহিংসতা, ও বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগাযোগ দেশের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হয়েছে।”

তিনি দাবি করেন, “যারা রাষ্ট্রপতিকে হত্যা করতে পারে, তারা দেশের মানুষের জন্য কিছুই করতে পারে না। জিয়াউর রহমান ছিলেন একমাত্র নেতা যিনি দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। অথচ তাকেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করা হয়। আজ দেশের জনগণকে এই সত্য জানতে হবে।”

এই বক্তব্যের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধীদলগুলো অলি আহমদের বক্তব্যকে ‘তথ্যনির্ভর ও সাহসিকতার প্রতিফলন’ বলে উল্লেখ করেছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতারা এ বক্তব্যকে ‘উস্কানিমূলক ও ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।


বিশ্লেষণ ও প্রতিক্রিয়া:

কর্ণেল অলির এই বক্তব্য এমন সময়ে এল যখন দেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহলে নতুন করে সমালোচনা উঠছে, আর এমন মুহূর্তে তার এই মন্তব্য ক্ষমতাসীনদের জন্য চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

অনেকে মনে করছেন, কর্নেল অলি হয়তো নিজের রাজনৈতিক অবস্থান সুসংহত করতেই এমন বক্তব্য দিচ্ছেন। তবে যেহেতু তিনি একজন প্রাক্তন মুক্তিযোদ্ধা ও সামরিক কর্মকর্তা, তার কথা পুরোপুরি উপেক্ষা করাও সহজ হবে না।

 

দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ড এক রহস্যঘেরা অধ্যায়। কর্নেল অলির বক্তব্য সেই রহস্যের আরেকটি দিক উন্মোচনের ইঙ্গিত দেয়। যদিও বিষয়টি নিয়ে সরকারি বা নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি দীর্ঘদিনের, তা আজও আলোর মুখ দেখেনি।

לא נמצאו הערות


News Card Generator