জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি -
ঝালকাঠিতে “এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই”—এই উদ্দীপনামূলক ও প্রেরণাদায়ক প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ভিন্নধর্মী ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে ‘তারুণ্যের উৎসব–২০২৫’ পালিত হয়েছে। এবারের উৎসবে মূল লক্ষ্য হলো তরুণ প্রজন্মকে সমাজ গঠনে ও দেশের উন্নয়নে নিজেদের ক্ষমতা ও দক্ষতাকে কাজে লাগাতে অনুপ্রাণিত করা। উৎসবের অংশ হিসেবে আজ ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫ (বুধবার) সকালে স্থানীয় যুব ভবন চত্বরে এক মহিমান্বিত ও বিশাল আকারের যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, যা সব তরুণকে একত্র করেছে নতুন ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে।
সমাবেশটি ঝালকাঠি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে জেলার প্রায় ৩৫০ জন প্রশিক্ষিত যুবক ও যুব নারী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। এই আয়োজনে নেতৃত্ব দেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ঝালকাঠির উপপরিচালক জনাব মোঃ আলাউদ্দিন, যিনি সহানুভূতিশীল ধারণায় উৎসাহ প্রদান করেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝালকাঠি জেলার জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ মমিন উদ্দিন, যিনি তাঁর উজ্জ্বল ও অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্যে যুবকদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। এই যুগান্তকারী ও প্রতিশ্রুতিশীল ধারণাকে প্রতিষ্ঠা করতে তিনি বর্তমান বিশ্বের অন্যতম আলোচিত “World of Three Zeros” বা ‘তিন শূন্যের বিশ্ব’ তত্ত্বের ওপর বিশেষ জোর দেন। তিনি বলেন: “একটি ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে আমাদের শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য কার্বন নিঃসরণ নিশ্চিত করতে হবে। যুবসমাজকে শুধুমাত্র চাকরির পেছনে না ছুটে দক্ষ উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মনিয়োগ করতেও প্রয়োজন এবং পরিবেশ রক্ষায় সচেতন হতে হবে।”
সমাবেশে বক্তারা তাদের বক্তৃতায় আশা প্রকাশ করেন যে, এই ধরনের আয়োজন যুবসমাজের মধ্যে নেতৃত্বদানের ক্ষমতা, নতুন উদ্ভাবনী চিন্তাধারা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সহায়ক হবে। প্রশিক্ষিত যুবকরা যাতে তাদের অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে স্বাবলম্বী হতে পারে এবং দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক অবদান রাখতে পারে, সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, প্রশিক্ষক এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন, যারা তাদের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই আয়োজনকে সফল করে তোলার লক্ষ্যে কাজ করেছেন। সমাবেশের পর, যুবকদের নিয়ে একটি সচেতনাত্মক র্যালি যুব ভবন চত্বর প্রদক্ষিণ করে, যা সচেতনতার বার্তা সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়।



















