close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

জব্দকৃত টাকায় গঠন করা হবে দরিদ্রদের ফান্ড : গভর্নর

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ জব্দ করে এবার তৈরি হচ্ছে বিশেষ কল্যাণ তহবিল। একাংশ ব্যাংক খাতকে ফেরত দেওয়া হলেও বড় একটি অংশ ব্যয় হবে গরিবদের কল্যাণে। কীভাবে চলবে এই তহবিল? জা..

পাচারকৃত টাকায় গঠিত হবে দরিদ্র সহায়তা ফান্ড: গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের ঘোষণা

দেশের অর্থনীতি যখন নানা চ্যালেঞ্জের মুখে, তখন এক সুসংবাদ জানালেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি জানিয়েছেন, ব্যাংক খাত ও দুর্নীতির মাধ্যমে যারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে, তাদের কাছ থেকে জব্দ করা অর্থ দিয়ে গঠিত হবে একটি ‘দরিদ্র কল্যাণ তহবিল’। এই তহবিলের মাধ্যমে সমাজের অসহায় ও দরিদ্র জনগণের পাশে দাঁড়াবে রাষ্ট্র।

সোমবার, ১৯ মে, ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

পাচারের টাকা আর লুটপাটের ইতিহাস

গভর্নর বলেন, “দেশের ব্যাংক খাত থেকে লুটপাট এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অনেকেই বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছে। আমরা সেইসব পাচারকারীদের খুঁজে বের করে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় তাদের সম্পদ জব্দ করেছি। এখন সেই জব্দকৃত অর্থকে কাজে লাগিয়ে সমাজের উপকারে ব্যবহার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।”

তিনি জানান, সরকার ইতিমধ্যেই এসব সম্পদের ব্যবস্থাপনায় একটি ম্যানেজমেন্ট বোর্ড গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বোর্ডের কাজ হবে জব্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা।

কোন টাকা যাবে কোথায়?

ড. মনসুর বলেন, “যেসব টাকা সরাসরি ব্যাংক লুটপাটের মাধ্যমে পাচার হয়েছে, তা বিক্রি করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে ফেরত দেওয়া হবে। আর যেসব টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে সংগ্রহ করে বিদেশে পাচার করা হয়েছিল, সেই অর্থ ব্যয় হবে জনকল্যাণমূলক কাজে।”

তিনি আরও নিশ্চিত করেন যে, পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণভাবে আইনি কাঠামোর ভেতরে থেকেই পরিচালিত হবে। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হলে তার সম্পদ স্পর্শ করা হবে না।

নতুন করে ভরসা ও নজির

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং দুর্নীতিবাজদের প্রতি কড়া বার্তা দিতে এই পদক্ষেপকে ‘ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত’ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। পাচার হওয়া অর্থ যদি দেশের দরিদ্র জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করা যায়, তবে এটি হতে পারে আর্থিক খাতে পুনরুদ্ধারের এক বড় উদাহরণ।

এই ঘোষণা জনমনে আশার সঞ্চার করেছে যে, সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে এবং শুধু কথায় নয়, কাজেও সেটি দৃশ্যমান।

শেষ কথা

দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ দিয়ে যখন গরিবদের মুখে হাসি ফোটানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, তখন সাধারণ মানুষও নতুন আশায় বুক বাঁধছে। এই উদ্যোগ শুধু অর্থনৈতিক নয়, নৈতিক বিজয় হিসেবেও বিবেচিত হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

এখন দেখার বিষয়, এই তহবিল কতটা কার্যকরভাবে ব্যবহৃত হয় এবং কতটা দ্রুত সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠী এর সুফল পেতে শুরু করে।

کوئی تبصرہ نہیں ملا