close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

জাতিসংঘে গাজায় স্থায়ী যু'দ্ধ'বি'র'তি'র পক্ষে জোরালো সমর্থন, আমেরিকা-ই'স'রা'ই'ল কোণঠাসা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়েছে বিপুল ভোটে। ১৪৯টি দেশের সম্মিলিত সমর্থনে বিশ্ব দেখালো—মানবতা নিরস্ত্র নয়। আমেরিকা ও ইসরাইলের বিরোধিতা সত্ত্বেও, নিরীহ মানুষের রক্তপা..

বিশ্ব যখন গাজায় রক্তাক্ত শিশুদের কান্না, ধ্বংসস্তূপে পরিণত নগরী আর সঙ্কটাপন্ন মানবিক পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে, তখন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ থেকে উঠে এলো এক ঐতিহাসিক আহ্বান—"যুদ্ধ থামাও, মানবতা বাঁচাও।"

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এক জরুরি ও বিশেষ অধিবেশনে গাজায় অবিলম্বে, নিঃশর্ত এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে পাস হয় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব। এই প্রস্তাবে ১৪৯টি দেশ সমর্থন দেয়, যার মধ্যে ছিল বাংলাদেশসহ বিশ্বের অধিকাংশ শান্তিপ্রিয় দেশ। বিপক্ষে দাঁড়ায় মাত্র ১২টি দেশ, যার মধ্যে অন্যতম যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। আরও ১৯টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।

এই বিপুল ভোটের মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে যায়—বিশ্ব সম্প্রদায় আর নীরব দর্শক হয়ে থাকতে রাজি নয়। তারা শান্তি চায়, সহানুভূতি চায়, এবং চায় মানবাধিকারের সম্মান।

উক্ত প্রস্তাবে স্পষ্টভাবে বলা হয়—গাজার জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা প্রবেশে আর কোনো বাধা থাকা উচিত নয়। যুদ্ধের ভয়াবহ বাস্তবতায় যে সংকট তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে খাদ্য, ওষুধ ও চিকিৎসাসেবা—তা এখনই সমাধান প্রয়োজন। সভায় উল্লেখ করা হয় যে, “ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার” করার যে দুর্ভাগ্যজনক পন্থা কিছু দেশ নিচ্ছে, তা শুধু অমানবিকই নয়, আন্তর্জাতিক আইন বিরুদ্ধ।

প্রস্তাবনায় ইসরাইলকে সরাসরি আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়। বেসামরিক জনগণের জীবন রক্ষা করা, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা এবং যুদ্ধের মধ্যেও মানবিক মূল্যবোধ বজায় রাখা—এসবই আন্তর্জাতিক আইনের আওতাভুক্ত বাধ্যবাধকতা, যা ইসরাইল দিনের পর দিন লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ উঠে এসেছে বহু দেশের পক্ষ থেকে।

যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইল এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও, বিশ্লেষকরা বলছেন—এতে তাদের কূটনৈতিক অবস্থান আরও দুর্বল হলো। কারণ, বিশ্বব্যাপী যে ধরণের মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে গাজায়, সেখানে এই দুই দেশের বিরুদ্ধমুখী ভূমিকা তাদেরকে বৈশ্বিক সহানুভূতি থেকে বিচ্ছিন্ন করছে।

বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের জনগণের স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এই প্রস্তাবেও বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থন বিশ্ববাসীর কাছে একটি বার্তা—শান্তিপ্রিয় জাতিগুলো সংঘাতের নয়, সমাধানের পক্ষেই অবস্থান নেয়।

এই ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ একটি শক্ত বার্তা দিয়েছে—বিশ্ব এখন যুদ্ধ নয়, শান্তি চায়। বড় শক্তিগুলোর রাজনৈতিক ও সামরিক খেলায় সাধারণ মানুষের জীবন দিয়ে খেলা আর বরদাস্ত করবে না বিশ্বসম্প্রদায়।

Ingen kommentarer fundet