close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

জাতীয় ঐক্য না থাকলে দেশটাই খেলায় পরিণত হবে!” — মিজানুর রহমান আজহারি ও উমামা ফাতেমার রাজনৈতিক বার্তায় তোলপাড়..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
জাতীয় ঐক্য, আত্মত্যাগ ও রাজনৈতিক পরিপক্কতা—এই তিন শব্দে ভবিষ্যতের বাংলাদেশের পরিণতির ইঙ্গিত দিলেন ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারি ও ছাত্র আন্দোলনের নেত্রী উমামা ফাতেমা। কে কী বললেন, কী বার্তা দিলেন..

জাতীয় ঐক্য না থাকলে দেশটাই খেলায় পরিণত হবে! — মিজানুর রহমান আজহারি ও উমামা ফাতেমার রাজনৈতিক বার্তায় তোলপাড়

রাজনৈতিক অস্থিরতার আবহে যখন পুরো দেশ অনিশ্চয়তা ও বিভাজনের পথে হাঁটছে, তখন জাতীয় ঐক্যের বার্তা নিয়ে মুখ খুললেন দুই ভিন্ন প্রান্তের দুই প্রভাবশালী ব্যক্তি—জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মাওলানা ড. মিজানুর রহমান আজহারি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। এক রাতেই দুই ভিন্ন ব্যাক্তির ফেসবুক পোস্টে উঠে এলো এক গভীর রাজনৈতিক শঙ্কা ও আহ্বান—জাতীয় ঐক্য না থাকলে রাষ্ট্রটাই হয়ে উঠবে এক অশান্ত খেলার মাঠ।

আজহারির বার্তা: “সেক্রিফাইসিং মেন্টালিটি জরুরি”

২৩ মে রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারি লেখেন,

“জাতীয় ঐক্য টিকিয়ে রাখতে সেক্রিফাইসিং মেন্টালিটি জরুরি। বিভাজনে কেবল অপশক্তির চক্রান্তই সফল হবে। ভুলে গেলে চলবে না— স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। শান্ত হোন, ঐক্যবদ্ধ থাকুন।”

তার এই বার্তায় স্পষ্ট প্রতিফলন ঘটে দেশের চলমান রাজনৈতিক বিভাজনের প্রেক্ষাপটে। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে এমন একটি মানসিকতা তৈরি করার আহ্বান জানান, যেখানে ত্যাগ স্বীকারকে গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং ব্যক্তিগত বা দলীয় স্বার্থের চাইতে দেশের স্বার্থ অগ্রাধিকার পাবে।

উমামা ফাতেমার বক্তব্য: “দেশ এখন খেলায় পরিণত হয়েছে”

একই রাতে আরেকটি পোস্ট ভাইরাল হয়—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমার ফেসবুক স্ট্যাটাস। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন,

“দেশ কোনো ধরনের রাজনৈতিক ঐক্যের পথে নাই। এই ঐক্য ভেঙে গেছে গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবরেই। খোলসটাও এখন খুলে পড়ছে, তাই অনেকে অবাক হচ্ছে।”

তিনি অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি কিছুটা পরিপক্কতা ও শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান দেখিয়ে কিছু ছাড় দিত, তাহলে অন্তত নির্বাচনের আগে পর্যন্ত একটি স্থিতিশীল অবস্থা বজায় রাখা যেত।

“রাজনীতি এখন হা-হুতাশের হাস্যকর পর্যায়ে পৌঁছেছে”

উমামা আরও বলেন,

“সব পক্ষ যদি কিছুটা পরিপক্কতা দেখাতো, শহীদদের জীবনের কথা ভেবে কিছুটা ছাড় দিত তাহলে অন্তত ইলেকশনের আগ পর্যন্ত দেশটা স্ট্যাবল থাকত। এখন প্রতিটি শক্তিই পরস্পরকে বেইমান, গাদ্দার মনে করে। এই অবস্থায় ড. ইউনূসকে নিয়ে হা-হুতাশ হাস্যকর লাগে।”

তার বক্তব্যে উঠে আসে রাজনৈতিক নেতৃত্বের অনৈক্য, পারস্পরিক অবিশ্বাস এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে বাধাগ্রস্ত একটি বাস্তবতা।


কেন এই বক্তব্যগুলো গুরুত্বপূর্ণ?

একদিকে ধর্মীয় পরিসরে প্রভাবশালী বক্তা আজহারির ঐক্যের আহ্বান, অন্যদিকে তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে উমামার তীক্ষ্ণ সমালোচনা—দুটি বার্তাই বর্তমান রাজনৈতিক চিত্রকে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে। একদিকে রাজনীতি থেকে ধর্ম পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রেই জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা উঠে আসছে, অন্যদিকে বাস্তব রাজনৈতিক বিভাজন ও নেতাদের মনোভাব জাতীয় সংকটকে গভীরতর করছে।

শেষ কথা

বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই দুটি বক্তব্য কেবল মতামত নয়—এ এক রকম সতর্ক সংকেত। দেশ আজ ঐক্যের সন্ধানে, নেতৃত্বের দায়িত্বে। বিভাজন নয়, প্রয়োজন ত্যাগ ও বোঝাপড়ার রাজনীতি। তা না হলে, দেশটা সত্যিই এক বিশৃঙ্খল খেলায় পরিণত হতে পারে—যার পরিণতি কারো জন্যই শুভ হবে না।

No comments found


News Card Generator