close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে লিগ্যাল নোটিশ

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়ে পাঠানো হলো লিগ্যাল নোটিশ! আওয়ামী লীগের পর এবার টার্গেটে জাপা? রাজনীতিতে বড় ধাক্কা আসছে?..

দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আবারও উত্তেজনা! আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন স্থগিতের দাবি ঘিরে দেশজুড়ে যখন আলোচনা-সমালোচনার ঝড়, তখন নতুন করে জাতীয় পার্টির (জাপা) বিরুদ্ধেও রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি উঠেছে। ১৮ মে, রোববার, জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং দলটির নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্যের জন্ম দিয়েছে।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় পার্টি দীর্ঘদিন ধরে দেশের গণতন্ত্রের পরিপন্থী কার্যকলাপে যুক্ত। দলটির কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ ও অসাংবিধানিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। দেশের স্বার্থবিরোধী এবং সংবিধান পরিপন্থী আচরণ করার কারণে দলটির রাজনৈতিক অনুমোদন ও নিবন্ধন বাতিল করা জরুরি হয়ে পড়েছে বলেও দাবিতে উল্লেখ করা হয়।

আইনি নোটিশটি কে পাঠিয়েছেন এবং এর পেছনে কোন সংগঠন বা আইনজীবীর ভূমিকা রয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনো প্রকাশ পায়নি। তবে জানা গেছে, নোটিশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশনসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরের উদ্দেশে এই দাবি জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি নিঃসন্দেহে একটি বড় ধরনের রাজনৈতিক বার্তা বহন করে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একই ধরনের পদক্ষেপের দাবি ওঠার পরপরই জাতীয় পার্টিকেও এভাবে টার্গেট করা, রাজনীতিতে নতুন সংকেত দিচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. হাসান মাহমুদ বলেন, "যদি একের পর এক রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ বা নিবন্ধন বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হয়, তাহলে দেশে এক ধরনের একদলীয় শাসনের আশঙ্কা তৈরি হবে। এটি গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক বার্তা।"

অন্যদিকে, সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, যদি কোনো রাজনৈতিক দল সত্যিকার অর্থে জনগণের অধিকার হরণ করে বা রাজনীতিকে কলুষিত করে, তবে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। তবে একাধিক বিরোধী দলকে নিষিদ্ধের দাবি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

উল্লেখ্য, জাতীয় পার্টি এক সময় ক্ষমতায় ছিল এবং দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দলটি একাধিক বিভাজন ও নেতৃত্ব সংকটে ভুগছে। এর মধ্যে আবারও এ ধরনের দাবি দলটির অস্তিত্বের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে, নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এখনো পর্যন্ত তাদের কাছে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে কোনো আনুষ্ঠানিক তদন্ত বা কার্যক্রম শুরু হয়নি। তবে লিগ্যাল নোটিশ পেলে তা পর্যালোচনা করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাতীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ রূপ কেমন হবে—সে প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের ধারাবাহিক দাবিগুলি দেশকে এক অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে যেতে পারে।

সংবাদ চলমান… নতুন তথ্য পাওয়া মাত্রই আপডেট জানানো হবে।

نظری یافت نشد