জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান এনসিপির..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
জাতীয় পার্টিকে দালাল দল আখ্যা দিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব রংপুরে জানালেন হুঁশিয়ারি—মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না করলে শুরু হবে সামাজিক প্রতিরোধ।..

রংপুরের রাজনীতি উত্তপ্ত। সরাসরি জাতীয় পার্টিকে “গুমদাল” ও “দলদাস” বলে কড়া আক্রমণ করলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র সদস্যসচিব আখতার হোসেন। শুধু কথার ঝড় নয়, রীতিমতো রংপুরের ডিসি মোড়ে দাঁড়িয়ে রণহুঙ্কার দিলেন—“জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে রংপুরে গড়ে উঠবে সামাজিক প্রতিরোধ, যদি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না করা হয়।”

মঙ্গলবার শহরের ডিসি মোড়ে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত পথসভায় আখতার হোসেন বলেন,বাংলাদেশে একটি দল আছে যারা সবচেয়ে নগ্নভাবে আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এই গৃহপালিত বিরোধী দল জাতীয় পার্টি আজ রংপুরে নাশকতা চালাচ্ছে।

তিনি অভিযোগ করেন, “তারা আমাদের ভাইদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমরা রংপুরের মাটি থেকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছি—এই দালাল ও গুন্ডাদলের বিরুদ্ধে রংপুরবাসী সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।”

এর আগে দিনটি শুরু হয় এক প্রতীকী কর্মসূচির মাধ্যমে। রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর জাফরপাড়া গ্রামে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে এনসিপির গণপদযাত্রার সূচনা হয়। সেখান থেকে পদযাত্রাকারীরা রওনা দেন গাইবান্ধার উদ্দেশে এবং পরে রংপুরে ফিরে আসেন।

রংপুর ফেরার পর ডিসি মোড়ে অনুষ্ঠিত হয় সংক্ষিপ্ত পথসভা, যেখানে দলটির সদস্যসচিব সরাসরি আক্রমণ করেন জাতীয় পার্টিকে।

আখতার হোসেন বলেন,জাতীয় পার্টির দালালদের আর কোনো ছাড় নেই। রংপুরের জনগণ এখন অনেক বেশি সচেতন। তারা জানে কারা এই দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আর এই অন্যায় সহ্য করা হবে না।

তিনি আরও বলেন, এই পদযাত্রা কোনো প্রথাগত রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি একটি সামাজিক জাগরণ। এটি দেশের প্রতিটি মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে গণপ্রতিরোধের প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে চায়।

আজ বুধবার পদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে এনসিপির নেতাকর্মীরা রওনা হন কুড়িগ্রামের দিকে। সকাল থেকেই কলেজ মোড়ের বিজয়স্তম্ভ চত্বরে একাধিক পথসভা হয়। এরপর পদযাত্রা এগোয় ঘোষপাড়া মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিফলকের দিকে।

দলটির নেতারা জানান, সেখান থেকে আবার রওনা দেওয়া হবে ফুলবাড়ী উপজেলার উদ্দেশে। সেখানে আরেকটি পথসভা শেষে পদযাত্রা পৌঁছাবে লালমনিরহাটে।

পদযাত্রা নিয়ে এনসিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে—আমরা এই পদযাত্রার মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংযুক্ত হব। তাদের ভোগান্তি জানব, তাদের আহ্বানে সাড়া দেব। আমাদের লক্ষ্য একটাই—গণজাগরণ সৃষ্টি করে রাজনৈতিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা।

এই বার্তাটি শুধু রংপুর নয়, গোটা উত্তরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে আলোড়ন তুলেছে। আগামী দিনগুলোতে এনসিপির এই পদযাত্রা কতদূর বিস্তার লাভ করবে এবং জাতীয় রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে, এখন সেই দিকেই তাকিয়ে সকলে।

कोई टिप्पणी नहीं मिली


News Card Generator