এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন এবং পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। জাতীয় পার্টি এ ঘটনার পর এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, এটি ছিল একটি সন্ত্রাসী হামলা।
অনুষ্ঠানটি বিকেল ৫টার পর শুরু হয়, তবে খুব দ্রুতই সভাস্থলে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে। উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয় এবং এর কিছুক্ষণ পরেই কয়েকজন হামলাকারী লাঠি ও কাচের প্লেট ছুড়ে মারে। হামলার পর কয়েকজন রক্তাক্ত হন এবং সভাস্থলে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। হামলার উদ্দেশ্য এখনও পরিষ্কার নয়, এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জাতীয় পার্টি বলছে, “এটি একটি সন্ত্রাসী হামলা। যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর।” তবে, ঘটনাস্থলে উপস্থিত দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সহ অন্যরা নিরাপদে ছিলেন বলে জানা গেছে।
এই ঘটনায় সংঘটিত সহিংসতা এবং হামলার প্রকৃতি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা তীব্র হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এ ধরনের সহিংসতার ঘটনা সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিবেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং জনগণের অধিকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
এখন পর্যন্ত এই হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি এবং হামলার পেছনে মূল উদ্দেশ্য কী তা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। তবে রাজনৈতিক নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এই ধরনের সহিংসতার ঘটনা রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি বিপজ্জনক সংকেত হতে পারে।



















