close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের জরুরি বৈঠক প্রধান উপদেষ্টার..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গভীর রাতে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হলো উচ্চ পর্যায়ের এক গোপন বৈঠক। আলোচনায় উঠে এলো দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি, আলোচিত কয়েকটি ঘটনা এবং বাহিনীগুলোর পদক্ষেপ। বিস্তার..

জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে জরুরি বৈঠক: জারি করা হলো সতর্ক বার্তা

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতি ঘিরে অনুষ্ঠিত হলো এক উচ্চ পর্যায়ের গোপন বৈঠক। বৈঠকের নেতৃত্ব দেন দেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকটি এমন সময় অনুষ্ঠিত হলো, যখন দেশব্যাপী রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি আলোচিত ঘটনা জনগণের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি গভীর মনোযোগ দিয়ে বলেন, “রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। নিরাপত্তা বাহিনীর সব ইউনিটকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে।”

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সংবাদমাধ্যমকে বৈঠকের বিষয়বস্তু নিশ্চিত করেন এবং বলেন, “বৈঠকটি মূলত দেশের বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য ডাকা হয়েছিল। বিশেষ কিছু অঞ্চলে নিরাপত্তা পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে—তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।”

সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রধানগণের উপস্থিতি

উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। এ ছাড়া বৈঠকে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ নেতারা অংশগ্রহণ করেন—সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।

সূত্র জানায়, বৈঠকে সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। তাতে উঠে আসে দেশের ভেতরে ও বাইরের সম্ভাব্য হুমকি, রাজনৈতিক উত্তেজনার দিকনির্দেশনা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো গুজবের ব্যাপারে গোয়েন্দা সতর্কতা।

আলোচিত কিছু ঘটনার প্রতি নজর, বাহিনীর কাজের প্রশংসা

বৈঠকে আলোচিত হয় সম্প্রতি রাজধানী ঢাকায় কয়েকটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা, যেগুলো জনমনে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ এবং অপরাধী শনাক্তে দক্ষতা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা যারা দায়িত্বে আছি, তাদের জন্য এটি সময়োপযোগী ও গুরুতর মুহূর্ত। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো শৈথিল্য বরদাশত করা হবে না।” একই সঙ্গে তিনি বাহিনীগুলোর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির ওপর জোর দেন এবং বলেন, “সন্ত্রাস, নাশকতা বা গুজব—যেকোনো ধরণের হুমকির বিরুদ্ধে সমন্বিত প্রতিরক্ষা গড়ে তুলতে হবে।”

দেশজুড়ে সতর্ক অবস্থান নিশ্চিত করতে নির্দেশ

বৈঠকের শেষভাগে দেশের বিভিন্ন বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য প্রধান শহরগুলোতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার এবং জনসাধারণের চলাচলে সচেতনতা আনতে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বৈঠক প্রমাণ করে যে সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনী বর্তমান পরিস্থিতিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে।

 

জাতীয় নিরাপত্তা প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে এই জরুরি বৈঠক একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিচ্ছে—দেশে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনী কোনো ধরনের ছাড় দিচ্ছে না। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়; বরং এটি ভবিষ্যতের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একটি কৌশলগত দিকনির্দেশনা।

Hiçbir yorum bulunamadı


News Card Generator