close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত, ভোটাধিকারের পথ খুলল: আমির শফিকুর রহমান..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
দীর্ঘ এক যুগের আইনি লড়াইয়ের পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন পুনরুদ্ধারে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ‘ন্যায়বিচারের বিজয়’ বলে আখ্যা দিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, এই রায়ের মধ্য দিয়ে জনগণ..

রবিবার (১ জুন) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সর্বসম্মতভাবে আমাদের দলের নিবন্ধন পুনর্বহাল করার যে রায় দিয়েছেন, তার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। আলহামদুলিল্লাহ। এটা শুধু আমাদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার রায় নয়, বরং এটা হলো জুলুম-নিপীড়নের অবসান এবং ন্যায়বিচারের এক ঐতিহাসিক উদাহরণ।”

তিনি জানান, ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াত যথাযথভাবে নির্বাচন কমিশনের সকল শর্ত পূরণ করে নিবন্ধন লাভ করে এবং পরবর্তীতে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে একটি বিশেষ মহল হাইকোর্টে রিট করে নিবন্ধন বাতিল চায়। হাইকোর্ট ২০১৩ সালের ১ আগস্ট বিভক্ত রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে দেয়।

জামায়াতে ইসলামী ঐ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২০২৫ সালের ১ জুন আপিল বিভাগ সেই রায় বাতিল করে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।


রাজনৈতিক ভারসাম্যে নতুন অধ্যায় সূচিত হবে”

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আজকের এই রায় আমাদের আইনি ও রাজনৈতিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে। এটি জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রেও নতুন সুযোগের দ্বার উন্মোচন করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, এই রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন গতি ও ভারসাম্য সৃষ্টি হবে, ইনশাআল্লাহ।”

তিনি আরও বলেন, “যারা আমাদের আইনি লড়াইয়ে সহায়তা করেছেন—বিশেষ করে বিজ্ঞ আইনজীবী, শুভানুধ্যায়ী এবং সুধীজনদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”


ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে জামায়াতের অবস্থান

ডা. শফিক বলেন, “জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ ছিল সুষ্ঠু রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ। আমরা অতীতেও দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি এবং গুরুত্বপূর্ণ আসনে প্রতিনিধিত্ব করেছি। দেশের নির্বাচনী রাজনীতিতে একটি গঠনমূলক দল হিসেবে আমাদের অবস্থান রয়েছে, এবং এই রায়ের মাধ্যমে সেই অবস্থান পুনরুদ্ধার হলো।”


এই রায়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন পর একটি বড় ধরনের আইনি এবং রাজনৈতিক মোড় পরিবর্তন ঘটলো বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এটি কেবল একটি দলের আইনি পুনর্বাসন নয়, বরং আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় ভারসাম্য ও প্রতিযোগিতার এক নতুন অধ্যায়ও সূচনা করলো।

Tidak ada komentar yang ditemukan