ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে বাংলাদেশি নাগরিকদের আশ্রয় আবেদন নতুন রেকর্ড গড়েছে। ২০২৪ সালে ৪৩ হাজার ২৩৬ জন বাংলাদেশি আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। কিন্তু আশ্রয় মঞ্জুরের হার ছিল অত্যন্ত কম, মাত্র ৩ দশমিক ৯ শতাংশ।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এজেন্সি ফর অ্যাসাইলাম (ইইউএএ) সোমবার (৩ মার্চ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যায় ছয় নম্বরে রয়েছে। যদিও আশ্রয় চাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৯৬ শতাংশের বেশি আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।
ইতালিতে সর্বাধিক আবেদন
ইইউএএ'র তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইতালিতে সর্বাধিক ৩৩ হাজার ৪৫৫ বাংলাদেশি আশ্রয় আবেদন করেছেন। ২০২৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৪৪৮ জন। এটি মোট আবেদনকারীদের ২১ শতাংশ। ফ্রান্সে আশ্রয় আবেদন কমে ৬ হাজার ৪২৯ জন হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্যদিকে, গ্রিসে বাংলাদেশি আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে এক হাজার ৪ জন।
আশ্রয় মঞ্জুরের নিম্ন হার
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশি আশ্রয়প্রার্থীদের মাত্র ৩ দশমিক ৯ শতাংশকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম। সিরিয়ার ৯০ শতাংশ এবং আফগানিস্তানের ৬৩ শতাংশ আবেদনকারী আশ্রয় পেয়েছে।
আশ্রয়প্রার্থীদের মোট সংখ্যা
২০২৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ডে মোট ১০ লাখের বেশি লোক আশ্রয়ের আবেদন করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১১ শতাংশ কম। জার্মানিতে সর্বাধিক ২ লাখ ৩৭ হাজার লোক আবেদন করেছে। স্পেন, ইতালি ও ফ্রান্সেও ব্যাপক সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে।
পরিশেষে
বাংলাদেশি আশ্রয়প্রার্থীদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা উদ্বেগজনক হলেও আশ্রয় মঞ্জুরের হার অত্যন্ত কম। ইউরোপীয় দেশগুলোতে অভিবাসন নীতির কঠোরতা এবং বৈধ কাগজপত্রের অভাবে বাংলাদেশি আবেদনকারীরা আশ্রয় পেতে ব্যর্থ হচ্ছেন।